মুন্সিগঞ্জ, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২০, গজারিয়া প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় ফাতেমা আক্তার নামক ১৫ বছরের এক কিশােরী অপহরণের দুই মাস পেরিয়ে গেলেও উদ্ধার হয়নি।
অপহৃতা কিশােরী উপজেলার বাউশিয়া ইউনিয়নের চর বাউশিয়া বড়কান্দি গ্রামের ফজলুর রহমানের কন্যা। সে চর বাউশিয়া শহীদ নজরুল উচ্চ বিদ্যালয় ৯ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
এ ঘটনায় ওই অপহৃতা কিশােরী পরিবার গত ৮ সেপ্টেম্বর থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেছেন। এ ব্যাপারে থানায় এজাহার দায়ের করা হয়েছে বলে ডিউটি অফিসার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
জানা যায়, উপজেলার বাউশিয়া ইউনিয়নের চর বাউশিয়া বড়কান্দি গ্রামের ফজলুর রহমানের কন্যা ফাতেমা আক্তার কে গত ৬ জুলাই সকালে চর বাউশিয়া বড়কান্দি গ্রামের রাস্তা থেকে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার হাম সাদী গ্রামের নাসিরের ছেলে বশির উদ্দিন ও তার সহযোগী ৪থেকে ৫ জনে অপহরণ করে।
পরে অপহৃতা কিশােরী খোঁজ পেয়ে বড় ভাই জহিরুল ইসলাম, মামাতো ভাই শাহাবুদ্দিন, আল-আমিন, হৃদয় ও আবু বক্কর গত ৮ সেপ্টেম্বর সোনারগাঁও উপজেলার হাম সাদী গ্রামের বশির উদ্দিনের বাড়িতে গেলে অপহরণকারী বশির উদ্দিন তাদের কে মারধর করে গুরুতর আহত করে।
বর্তমানে আল-আমিন, হৃদয় ও আবু বক্কর ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন আছেন। পরে ৮ সেপ্টেম্বর বিকালে বড় ভাই জহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে গজারিয়া থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেছেন।
অপহৃতা কিশােরী বড় ভাই জহিরুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, গত ৬ জুলাই তার ছোট বোন ফাতেমা আক্তার সকালে বাড়ির পাশে রাস্তা দিয়ে হাটার সময় অভিযুক্ত বশির উদ্দিন সহ ৪ থেকে ৫ জন যুবক জোরপূর্বক ভাবে মাইক্রোবাসে যোগে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে আটকিয়ে রেখেছেন। দুমাস পর তার বোন কে অনেক খুঁজাখুঁজির পর খবর পেয়ে হামসাদী গ্রামের বশির উদ্দিনের বাড়িতে গেলে অপহরণকারী বশির উদ্দিন তাদের মারধর করে। পরে গত ৮ সেপ্টেম্বর তিনি বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
এদিকে অপহরণের শিকার কিশােরী ফাতেমা আক্তারকে দ্রুত উদ্ধার করার জন্য পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন অপহৃতা কিশােরী এ পরিবারের সদস্যরা।