মুন্সীগঞ্জ সিরাজদিখানের রাজানগর উচ্চ বিদ্যালয় ও মালখানগর আলীম মাদ্রাসায় পৃথক ঘটনায় শিক্ষকের বেত্রাঘাতে ২ ছাত্র আহত হয়েছে।
এ নিয়ে এলাকায় বেশ তোলপার সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, সোমবার সকাল ১০ টায় রাজানগর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক তাপস বর্মণ ৫ম শ্রেণির ছাত্র ইমন হোসেনকে (১২) ইংরেজি বিষয় ক্লাশ নেওয়ার সময় বেত্রাঘাত করলে সে গুরুতর আহত হয়। তাকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ইমন মধুপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে।
এছারা সোমবার দুপুরে মালখানগর দাখিল মাদ্রাসায় শিক্ষক আব্দুল মজিদ ৩য় শ্রেণির ছাত্র কাজী ফয়সাল আহমেদ জিমকে (৯) বেত্রাঘাতের কারণে মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি জহিরুল ইসলাম অভিভাবকের সাথে মিমাংসা করেন। জিম মালখানগর গ্রামের কাজী আক্তারুজ্জামান রনির ছেলে।
জিমের চাচা কাজী বিপ্লব ও মাদ্রাসার সভাপতি জানান, রবিবার জিমকে ক্লাসে শিক্ষক আব্দুল মজিদ একাধিক বেত্রাঘাত করলে সে বাসায় গিয়ে অসুস্থ হয়ে পরে।
জিমের চাচা কাজী বিপ্লব মাদ্রাসার সুপার মহিউদ্দিনকে ঘটনাটি জানালে সে কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায়, সভাপতি মিমাংসা করেন ও সুপারকে পরবর্তি ব্যাবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। ক্লাশে বেত নিয়ে প্রবেশ না করার জন্য আগেও বলেছেন তিনি।
এলাকাবাসী অনেকেই জানান, মাদ্রাসায় আগেও এ শিক্ষক ডাস্টার দিয়ে এক ছাত্রীকে মাথায় মেরেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
তারা আরো জানান, আরেকজন শিক্ষক আক্তার হোসেন অসামাজিক কার্যকলাপে জরিত থাকায় চাকুরিচ্যুত হয়েছিল আবার কিভাবে মাদ্রাসায় বহাল হলো আমরা জানিনা। তবে এধরনের শিক্ষকদের অপসারণ আমরা চাই।
এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার বেলায়েত হোসেন বলেন, শিশুরা আমাদের সন্তানের মতো এদের কোন প্রকার নির্যাতন বা আঘাত করা যাবে না, নিজের সন্তানের মতো দরদ দিয়ে পড়াশুনা করাতে হবে। ঘটনাটি আমি জেনে ব্যাবস্থা নিব।