২০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
রবিবার | রাত ৩:৪১
হাসিনা-মোদী ব্রডব্যান্ড সংযোগ উদ্বোধন করবেন ২৩ মার্চ
খবরটি শেয়ার করুন:

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আগামী ২৩ মার্চ দুই দেশের মধ্যে প্রথম ব্রডব্যান্ড সংযোগের উদ্বোধন করবেন। ঢাকা ও দিল্লী থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ উদ্বোধন ঘোষণা করবেন দুই প্রধানমন্ত্রী। তাদের সঙ্গে আগরতলা থেকে একইভাবে যোগ দেবেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। বৃহস্পতিবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বিকাশ স্বরূপ তার সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।

ব্রডব্যান্ড সংযোগটি প্রথম পর্যায়ে চালু হবে আখাউড়া থেকে আগরতলা পর্যন্ত। এই সংযোগ পরে দুই দেশের মধ্যে আরও বিস্তৃত হবে। এর আগে দফায় দফায় সময় পিছিয়ে গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতে রপ্তানি শুরু হয়েছে। ওই দিন থেকে ১০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথের রপ্তানি মূল্য পরিশোধ শুরু করেছে প্রতিবেশি দেশটি। এছাড়া উভয় দেশের মধ্যে সংযোগ স্থাপিত হওয়ার পর ফেব্রুয়ারি মাসের ১ তারিখ থেকে পরীক্ষামূলকভাবে ব্যান্ডউইথ নিতে শুরু করে ভারতীয় রাষ্ট্রায়ত্ত্ব কোম্পানি ভারত সঞ্চার নিগাম লিমিটেড (বিএসএনএল)। পূর্বদিকের সাত রাজ্যে ইন্টারনেট ব্যবহারে এ ব্যান্ডউইথ নিচ্ছে দেশটি। বিএসসিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনোয়ার হোসেন জানান, দীর্ঘ টানাপড়েনের পর অবশেষে এ রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হলো।

গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ভারতের পূর্বদিকের ত্রিপুরা রাজ্যে ১০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ দেওয়া শুরু হয়। পরীক্ষা-নিরাক্ষার পর মঙ্গলবার বিকালে ভারত সঞ্চার নিগামের ত্রিপুরা কর্তৃপক্ষ ই-মেইলে জানিয়েছে তারা ঠিকঠাক গতিতে ব্যান্ডউইথ পাচ্ছেন। মনোয়ার হোসেন বলেন, গত ৭-৮ বছর ধরে তারা অব্যবহৃত ব্যান্ডউইথ রপ্তানির চেষ্টা করে আসছিলেন। এর মাধ্যমে সেই প্রক্রিয়া একটি আনুষ্ঠানিক রূপ পেল। প্রথম দিন ১ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি (বিএসসিসিএল) ২০০ এমবিপিএস ব্যান্ডউইথ পাঠায়। পরীক্ষামূলকভাবে পরের কয়েক দিন এর পরিমান বাড়ানো হয়। ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দেওয়া হয় চুক্তি অনুযায়ী ১০ জিবিপিএস।

উভয় দেশের মধ্যে ব্যান্ডউইথ আদান-প্রদানের এ প্রক্রিয়ায় কোনো ঝামেলা না থাকায় বিএসএনএল ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে এর মূল্য পরিশোধে সম্মতি দেয়। সে হিসাবে ওই দিন থেকে বিল করা হবে। আখাউড়া-আগরতলা সীমান্তের জিরো পয়েন্ট দিয়ে ফাইবার অপটিকের মাধ্যমে উভয় দেশের মধ্যে এ ইন্টারনেট সংযোগ স্থাপিত হয়েছে। এর আগে গত বছর মে মাসে উভয় দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত দুই কোম্পানির মধ্যে এ বিষয়ে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছিল। এরপর গত বছর জুনে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে চুক্তি হয়।

চুক্তি অনুসারে মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি এমবিপিএস ১০ ডলার। বাংলাদেশের মুদ্রায় বছরে মোট রপ্তানি থেকে বিএসসিসিএলের অন্তত নয় কোটি ৩৬ লাখ টাকা আয় করার সুযোগ রয়েছে। বিএসসিসিএল এমডি জানান, সরকারের নীতি নির্ধারকদের ইতিমধ্যে আনুষ্ঠানিক রপ্তানির খবরটি জানানো হয়েছে। তবে আগামী ২৩ মার্চ আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হবে। তখন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কলের মাধ্যমে ব্রডব্যান্ড সংযোগের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবে।

error: দুঃখিত!