২রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সোমবার | বিকাল ৫:০২
Search
Close this search box.
Search
Close this search box.
কুড়িগ্রামে বন্যা: ধরলার পানি বিপদসীমার উপর
খবরটি শেয়ার করুন:

কুড়িগ্রামে অবিরাম প্রবল বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ধরলা ও ব্রম্মপুত্র নদের পানি বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে প্লাবিত হয়ছে নদী তীরবর্তী এলাকার ৫৩টি গ্রাম। পানি বন্দী হয়ে পড়েছে অন্তত ৩২ হাজার মানুষ।

এছাড়াও ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তাসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। তলিয়ে গেছে আমন ক্ষেতসহ নদী তীরবর্তী এলাকার ঘর-বাড়ী। গ্রামাঞ্চলের কাঁচা সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। প্রবল বর্ষণেরর কারণে জেলা শহরে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা।

শুক্রবার স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘন্টায় সেতু পয়েন্টে ধরলা নদীর পানি ৬৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যদিকে চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্রের পানি ৭২ সেন্টিমিটার ও নুনখাওয়া পয়েন্ট ৯৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার সামান্য নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি ১৬ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপরদিকে বন্যায় নাগেশ্বরী উপজেলার দুধকুমর, ব্রহ্মপুত্র, গঙ্গাধর, ফুলকুমর, শংকোষের পানি বৃদ্ধি পেয়ে দুকুল ছাপিয়ে লোকালয়ে ঢুকেছে। তলিয়ে গেছে সদ্য লাগানো প্রায় ৬ হাজার হেক্টর জমির রোপা আমন ক্ষেত।

ইতোমধ্যে বন্যায় বিভিন্ন ইউনিয়নের ধনিরামপুর, শৈলমারী, টাপুর গ্রাম, সাতানা, পুটিমারী বিষ্ণুপুর, শিকদার পাড়া, বলরামপুর, ফান্দির ভিটা, কুমেদপুর, ভেরভেরি, সাহেবগঞ্জ, ধনীরপাড়, বালার হাট, বোয়ালমারী, শালমারা, খেলারভিটা, চর রহমানেরকুটি, লুছনি, পাঁচমাথা, মিনাবাজার, দামালগ্রাম, পানাতিটারী, ধনীটারী, সেনপাড়া, বোয়ালেরডারা, অন্তাইরপাড়, পৌরসভার চতলা, নামদানিটারী, চিলমারী, ভৈসতুলির পার, সাঞ্জুয়ারভিটাসহ বিভিন্ন এলাকায় সদ্য লাাগানো প্রায় ৬ হাজার হেক্টর জমির রোপা আমন ক্ষেত তলিয়ে গেছে। গত ১২ ঘন্টায় কুড়িগ্রামে ২০৭ মিলিমিটার, চিলমারীতে ১৯৮ মিলিমিটার এবং কাউনিয়ায় ২৪০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। যা এ বছরের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত ।

error: দুঃখিত!