এক সময়ের রাতের ভুতুরে জনপদ মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলা এখন সৌর সোলার প্যানেলের আলোয় আলোকিত এক জনপদে পরিণত হয়েছে। উপজেলার গুরত্বপূর্ণ ১২৪টি পাবলিক প্লেসে বসানো হয়েছে এই সমস্ত সোলার প্যানেল। ফলে বিদুৎ চলে গেলেও এ সমস্তু সোলার প্যানেলের আলোয় আলোকিত থাকছে উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো। এতে একদিকে যেমন চুরী, ডাকাতি, ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা কমেছে অন্যদিকে কর্মজীীব মানুষেরা অধিক রাত পর্যন্ত কর্মস্থলে কাজ সেরে বাড়ি ফিরতে স্বাচ্ছন্দবোধ করছে। হাসাইল, দিঘিরপাড় চরঞ্চলের দূর্গম স্থানগুলোতে সোলার প্যানল বসানোর কারণে দেশের বিভিন্নস্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা নদী ভাঙনকৃত এ অঞ্চলের মানুষগুলো চরঞ্চলে ফিরতে শুরু করেছে। এতে চরে জেগে উঠা পতিত জমিগুলোতে ব্যাপকভাবে কৃষি কাজ শুরু হয়েছে। কর্মসংস্থান বাড়ছে মানুষের। দূর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের গ্রামিণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কার (টি,আর)-এর মাধ্যমে এ সমস্ত সোলার প্যানেল বসানোর কারণে মানুষের গ্রামে বসবাসের আস্থা ফিরেছে। উপজেলার চাঠাতি পাড়া গ্রামের কতিপয় বাসিন্দা জানালেন তাদের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা চাঠাতি পাড়া- সাতুল্লা সংযোগ সড়কের আসবল কবরস্থানের উপরে একটি সোলার প্যানেল বসানোয় তারা এখোন গভির রাতেও স্বাচ্ছন্দে কর্মস্থল হতে বাড়ি ফিরতে পারছেন। আগে এই স্থানটিতে প্রায় ছিনতাই ও মাদক বিক্রেতারা মাদক বিক্রি করলেও এখোন আর ওই সমস্ত অসামাজিক কাজক্রম এখানে হচ্ছেনা। স্থাণীয় এমপি সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলির সার্বিক তত্ত্বাবধানে এ সমস্ত উন্নত মানের সৌর সোলার প্যানেল বসানোর কারনে পাল্টে যাচ্ছে এই জনপদের মানুষের জীবন যাত্রা। টঙ্গীবাড়ী উপজেলা ত্রান কর্মকর্তা জাকির হোসেন জানান, আমরা এ পর্যন্ত উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল যেখান বিদুৎ নাই বিশেষ করে চরঞ্চলগুলোতে ১ শতের মতো হোম সোলার এবং উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ১২৪টি স্ট্রিট সোলার বসিয়েছি। এই কর্মসূচী চলমান আরো সোলার প্যানেল বসানো হবে।