শ্রীনগরে চলতি মৌসুমে ইরি ধানের বাম্পার ফলন হলেও ধানের দাম না পাওয়ায় হতাশ কৃষক। উপজেলায় নয় হাজার ৯৯৫ হেক্টর জমিতে হাইব্রীডসহ বিভিন্ন জাতের ধান বপন করা হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ৬৬ হাজার মেট্রিক টন ধান। তবে ধানের বাম্পার ফলন হলেও কৃষকদের মুখে হাসি নেই। ধানের কাংক্ষিত দাম না পাওয়ায় কৃষকরা হতাশ। বর্তমানে প্রতি মন ধান ৪৮০ টাকা থেকে ৫২০ টাকা দরে স্থানীয়ভাবে পাইকারদের কাছে বিক্রি করতে হচ্ছে তাদের।
উপজেলার কুকুটিয়া, ভাগ্যকুল, পাটাভোগ, হাঁসাড়া, বাড়ৈখালী, ভাগ্যকুল, রাঢ়ীখাল, তন্তরসহ বিভিন্ন স্থানে ঘুরে জানা যায়, গত কয়েকদিন যাবত পুরোদমে ধান কাঁটা শুরু হয়েছে। আগামী ১০ দিনের মধ্যে ধান কাঁটার কাজ প্রায় শেষ হয়ে যাবে। ধান কাঁটা ও মারাইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষানীরা।
কৃষক রিপন বলেন, আমি প্রায় ৪০০ শতক জমিতে ইরি ধানের আবাদ করেছি। ধানের ফলনও ভাল হয়েছে। ধান কাঁটাও প্রায় শেষের দিকে। তবে ধানের দাম নিয়ে হতাশায় আছি। কৃষক শাহআলম, মো. বিল্লাল, মো. মিজানুর, ইউসুফ শেখসহ অনেকেই জানান, ধান বপনের পর ও সেচ ব্যবস্থা থেকে শুরু করে অধিক খরচ হয়েছে। এখন ধান ঘরে তোলার সময় কিন্তু ধান কাঁটতে দিনমজুরদের খাবারসহ ৬০০ টাকা করে দিতে হচ্ছে। ধানের দাম অনুসারে সব খরচ পুষিয়ে উঠা যাবে না! খাটাখাঁটি বাদে হিসাব করলেও ধান আবাদে লোকশান।
শ্রীনগর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, এ বছর নয় হাজার ৯৯৫ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের ইরি ধানের আবাদ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত প্রায় সাত হাজার হেক্টর জমির ধান কাঁটা হয়ে গেছে। ধান উৎপাদনের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ৬৬ হাজার মে. টন। কিছু জমিতে ধানের আবাদ করা হয়নি। এ বছর রাজস্ব খাতে বুরো ধানের ২৫টি ব্লককে প্রদর্শনী ব্লক হিসেবে ধরা হয়েছে। প্রনোদনা হিসেবে ৪০ জন কৃষক পাঁচ কেজি করে ধান বীজ ও ২৫ কেজি পরিমাণ সার দেয়া হয়েছে। এছাড়াও ফলোআপ প্রজেক্টের আওতায় ২১০ জন কৃষককে পাঁচ কেজি করে ধান বীজ দেয়া হয়েছে।