মোঃ জাফর মিয়াঃ শ্বশুর,শ্বাশুরী ও ননদের অত্যাচার ও অপবাদ সইতে না পেরে গায়ে কেরোসিন ঢেলে চার সন্তানের জননী গৃহবধূ বিউটি বেগম (৩২) আত্মহত্যা করেন । শুক্রবার দুপরে লৌহজং উপজেলার পূবভোগদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে । আগুনে পুড়ে যাওয়া অবস্থায় প্রথমে তাকে লৌহজং স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয় । পরে অবস্থা গুরুতর দেখে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় ঢাকা মেডিকেলের বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। সে উপজেলার হাটভোগদিয়া গ্রামের জব্বার খানের ছেলে আল আমিন খানের স্ত্রী।
অগ্নিদগ্ধ গৃহবধুর চাচা আব্দুল ওহাব শেখ জানান, তার ভাতিজিকে ১৫ বছর আগে বিয়ে দেওয়া হয়। বর্তমানে তাদের চারটি ছেলে মেয়ে আছে।বিগত কিছু দিন যাবৎ শ্বশুর বাড়ির লোকজন নিহত বিউটির পাশের বাড়ীর বাদশা হাওলাদারকে জাড়িয়ে পরকীয়ার অভিযোগ দিয়ে আসছিল। এ নিয়ে তার শ্বশুর জব্বার খান, শ্বাশুরী আমেনা বেগম ও ননদ কাউসারী বেগম তাকে নানা কথা বলে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে। শুক্রবার সকালে সালিশের কথা বলে স্থানীয় মনসুর মেম্বারের বাড়িতে আসলে বিউটিকে এ নিয়ে নানা অপবাদ দেয়া হয়। অপবাদ সইতে না পেরে বিউটি বাড়িতে থাকা কেরোসিন তেল গায়ে ঢেলে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এতে সে মারাত্মকভাবে অগ্নিদগদ্ধ হলে তাকে প্রথমে লৌহজং উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তার অবস্থা আসঙ্খা জনক হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ণ ইউনিটে নিয়ে যায়। মা বিউটি বেগমকে বাঁচাতে গিয়ে তার ৯ বছরের ছোট্ট্ ছেলে বিধানের ডান হাত পুরে গুরুতর আহত হয়। বিউটির শরীরের ৯০ ভাগ অগ্নিদগদ্ধ হয়েছে। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় হাসপাতালে মারা যায় বিউটি বেগম।
লৌহজং থানার ওসি মোল্লা জাকির হোসেন জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন, এ ব্যপারে আত্বহত্যার পরোচনার অভিযোগ এনে শ্বশুর স্বাশুরীসহ অগ্যাত নামা আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্তের পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ দিকে বিউটি বেগমের অন্যসব আত্মীয় ন্বজনদের অভিযোগ তার শশুর শাশুড়িরা তাকে মিথ্যে অপবাদ দিয়ে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে।