মুন্সিগঞ্জ, ২৯ এপ্রিল, ২০২০, বিশেষ প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
‘আসসালামু আলাইকুম। জনাব. আমি এবং আমার পরিবার করোনা ভাইরাসের প্রভাবে আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল হয়ে পড়েছি। এর ফলে খুব কষ্টে দিনযাপন করছি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানতে পেরেছি আপনি ত্রাণ কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন। যদি সম্ভব হয় আমার পরিবারকে এই কর্মসূচির আওতায় আনলে চিরজীবন কৃতজ্ঞ থাকবো। আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুক। এই ক্ষুদেবার্তাটি গত ১৪ এপ্রিল মুন্সিগঞ্জ সদরের নগরকসবা এলাকা থেকে আসা নিদারুণ কষ্টে কাটানো একজন মধ্যবিত্ত পরিবারের।
এরকম প্রতিদিন ২০০ ম্যাসেজ আসছে হটলাইনের নাম্বারে। যার সবই মধ্যবিত্ত পরিবারের। যে পরিবারগুলো কষ্টে দিন কাটালেও লোক লজ্জায় খাদ্যসামগ্রীর জন্য হাত বাড়াতে পারে না।
তাই গোপনে আওয়ামী লীগ নেতা মাহতাব উদ্দিন কল্লোলের নম্বরে ক্ষুদেবার্তা পাঠিয়েছে সহযোগিতার জন্য।
ক্ষুদেবার্তা পাঠানোর সাথে সাথে মুন্সিগঞ্জ শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহতাব উদ্দিন কল্লোল নিজস্ব গাড়ি দিয়ে ঘরে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেন। এরকম ব্যতিক্রমী কর্মসূচি নিয়ে সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছেন তিনি।
টংগিবাড়ী উপজেলার কাজীগাও গ্রামের এক গৃহবধূ বলেন, এতদিন কেউ তাদের খোঁজ নেননি। মাহতাব উদ্দিন কল্লোলের খাদ্যদ্রব্য পেয়ে তিনি খুবই খুশি।
একই কথা বলেন, জনৈক অটল বেপারী। তিনি বলেন, আমি দিনমজুর। কয়েকদিন কাজ নেই। প্রায় অনাহারে দিন কাটছিল। পরিচিত একজনের মাধ্যমে ম্যাসেজ পাঠান। এরপর রাতে খাদ্য সামগ্রী পেয়েছেন।
মুন্সিগঞ্জ শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহতাব উদ্দিন কল্লোল বলেন, অসহায় ও হতদরিদ্রদের মাঝে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ত্রাণ বিতরণ চলমান আছে। জনসমাগম ও দোকানপাট বন্ধ থাকায় ব্যবসা বাণিজ্য অনেকটা স্থবির। তাই মধ্যবিত্ত বা নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার অর্থ কষ্টে ভুগলেও পারিবারিক ও সামাজিক মান সম্মানের বিষয়টি চিন্তা করে সাহায্য নিতে চায় না। আমি তাদের পাশে থেকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছি। যতদিন এই পরিস্থিতি থাকবে আর কেউ থাকুক আর না থাকুক আমি তাদের পাশে থাকবো।