মুন্সিগঞ্জ ২০ অক্টোবর, ২০১৯, টংগিবাড়ী প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জের টংগিবাড়ীতে সড়ক দূর্ঘটনায় শিশু শ্রেনীর এক ছাত্রীর মৃত্যূ হয়েছে।
রবিবার ভোড়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যূ হয় তার।
শনিবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার বলই সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় শিশু শ্রেণীর ছাত্রী পূর্ণ বিশ্বাস (৬) স্কুল ছুিট শেষে নিজ বাড়িতে ফিরছিলো।
তার বাবা অমৃত বিশ্বাস তাকে এগিয়ে আনতে গিয়ে বলই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অপর প্রান্তে অবস্থান করে রাস্তা পার হয়ে মেয়েকে আনার চেষ্টা করছিলো । কিন্তু মেয়ে পূর্ণ বিশ্বাস বাবাকে দেখেই গাড়ি চলমান রাস্তার মধ্যে দিয়েই পার হতে চেষ্টা করে। এ সময় বাবা অমৃত বিশ্বাস ইশারায় রাস্তা পার হতে নিষেধ করছিলেন পূর্ণকে। কিন্তু পূর্ণ বাবাকে দেখে দৌড়ে রাস্তা পার হতে চেষ্টা করে রাস্তার মধ্যে পল্লি বাইকের ধাক্কায় লুটিয়ে পরে । পল্লি বাইকটি ওই শিশুটিকে রাস্তা পার হতে দেখে হার্ড ব্রেক করলে উল্টে গিয়ে পূর্নর শরীরের উপরে আঘাত আনে । এতে গুরুতর আহত হয় সে। পরে তাকে উদ্ধার করে টঙ্গীবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্র হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে চিকিৎসা শেষে বাবার সাথে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।
কিন্তু শনিবার গভীর রাতে পূর্ন বমি করা শুরু করলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করানো হয় । রবিবার ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যূ হয়। পরে বিকাল ৫টায় তাকে আবদুল্লাহপুর শশ্লানে মাটি দেওয়া হয় । সে উপজেলার দোরাবর্তি গ্রামের আমৃত বিশ্বাসের মেয়ে। এলাকাবাসী জানান, মাওয়া-মুক্তারপুর মহসড়কের পাশে বলই সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি।
কিন্তু ওই স্কুলের সামনের রাস্তাটিতে কোন স্পিড ব্রেকার না থাকাতে অহরহ দূর্ঘটনা ঘটছে।
এ ব্যাপারে বলই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এনামূল হক জানান, স্কুলের সামনে স্পিড বেকারের জন্য আমি উদ্ধতন কর্তপক্ষর কাছে বহুবার তদবির করেছি। কিন্তু তারা বলেছে মহাসড়কে স্পিড বেকার দেওয়া নিষেধ। এর আগেও ওই স্থানে সড়ক দূর্ঘটনায় বলই গ্রামের কামাল মোল্লা এবং শুক্কুর ঢালীর মৃত্যূ হয় এবং আমাদের স্কুলের ২য় শ্রেনীর অপর এক ছাত্রী রাবিয়া (৮) গত বছর দূর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে ২ মাস ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে। রাবিয়া বলই গ্রামের বছির খানের মেয়ে।