মুন্সিগঞ্জ, ২৯ অক্টোবর ২০২৪, নিজস্ব প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জে ১৪ বছর আগে স্বর্ণের চেইনের জন্য শিশু আবু তকিরকে (১০) অপহরণ ও হত্যার আলোচিত ঘটনায় ৫ জন আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও দশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৩ টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক ড. মোহাম্মদ আলমগীর এ রায় ঘোষণা করেন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত আসামিরা হলেন- রবিউল্লাহ, হান্নান মিয়া, আবুল হোসেন, ময়না মিয়া ও আনোয়ার হোসেন। এর মধ্যে রবিউল্লাহ ও হান্নান মিয়া পলাতক রয়েছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের ৩১ আগস্ট সকালে মুন্সিগঞ্জ সদরের ফুলতলা এলাকায় দশ বছরের শিশু আবু তকিরকে বাড়িতে রেখে তার বাবা-মা মুন্সিগঞ্জ শহরের সুপার মার্কেটে যান। বিকাল ৪ টার দিকে তারা বাড়িতে ফিরে তকিরকে না পেয়ে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করেন। কোথাও না পেয়ে পর দিন পহেলা সেপ্টেম্বর মুন্সিগঞ্জ সদর থানায় অজ্ঞাতনামা আসামী করে অপহরণ মামলা দায়ের করেন তকিরের মা ঝর্ণা বেগম।
নিখোঁজের তিন দিন পর ২ সেপ্টেম্বর বাড়ির পাশের একটি ডোবা থেকে শিশু তকিরের মরদেহ উদ্ধার হয়। হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে ৩ নভেম্বর পাশের এলাকার চিহ্নিত চোর রবিউল্লাহকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে রবিউল্লাহর তথ্য অনুযায়ী ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরও ৪ জন গ্রেপ্তার হয়।
রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তকির গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য তকিরকে সংঘবদ্ধভাবে অপহরণ করে হত্যা করা হয় বলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে হত্যাকাণ্ডের দায় শিকার করে রবিউল্লাহসহ অপর আসামিরা।
এরপর দীর্ঘ প্রায় ১৪ বছর বিচারকার্য শেষে আসামিদের জবানবন্দি ও সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে মঙ্গলবার তিনজন আসামির উপস্থিতিতে আদালত এ রায় প্রদান করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি রবিউল্লাহ ও হান্নান মিয়া পলাতক রয়েছেন।
অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সিরাজুল ইসলাম পল্টু জানান, রায়ে নিহত শিশু তকির পরিবার সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে।
