মোঃ রুবেল ইসলাম তাহমিদঃ
মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে আটকে পড়ে আছে শত শত যানবাহন। ট্রাকচালকেরা অলস সময় পার করছেন।
পদ্মায় তীব্র স্রোতের কারণে মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ের শিমুলিয়া ও মাদারীপুরের শিবচরের কাঁঠালবাড়ি নৌপথে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
১৮টি ফেরির মধ্যে চলছে মাত্র দুই টি। চাহিদার চেয়ে ফেরি চলাচল কম থাকায় ঘাটের দুপারে আটকা পড়েছে শত শত যানবাহন। ফলে যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। পাশাপাশি মালবাহী বেশ কিছু ট্রাকচালক সাত দিনেও পার হতে পারেনি।
তবে অতিরিক্ত টাকা নিয়ে আগে ফেরি পারাপারের অভিযোগ উঠেছে।
এ দিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বিকল্প নৌপথ হিসেবে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ফেরিঘাট ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) কর্মীরা।
ঘাট এলাকায় মাইকিং করে বিকল্প নৌপথ ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।
ট্রাফিক পুলিশ ও ফেরিঘাট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত টাকা নিয়ে আগে নদী পার করে দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে।
অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তারা। শনিবার সকালে শিমুলিয়া-মাওয়া মহাসড়কের দেড় কিলোমিটার জুড়ে মালবাহী ট্রাকের সারি দেখা যায়। ফেরি পার হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে অসংখ্য যানবাহন। টার্মিনালগুলোও যানবাহনে ভরা। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন পণ্যবাহী ট্রাকের চালকেরা। ব্যক্তিগত যানবাহন ও যাত্রীবাহী বাসগুলো ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে আছে।
এ বিষয়ে শিমুলিয়া ফেরিঘাটের মেরিন অফিসার মোঃ আম্মেদ আলী, বলেন, ঘাটের অবস্থা খুবই খারাপ। তীব্র স্রোতের কারণে আমরা ফেরি চালাতে পাচ্ছি না। ঘাট সচল রাখতে কোনোরকমভাবে কখনো দুটি , কখনো তিনটি, ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করছি। এ অবস্থায় ঘাটে প্রায় নয় শতাধিক যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় আছে।’
বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ফেরিঘাটের উপমহাব্যবস্থাপক নাছির মোহাম্মদ সকাল সন্ধ্যা সাতটার দিকে বলেন, পদ্মায় পানি বেড়ে যাওয়ায় তীব্র স্রোত দেখা দিয়েছে। স্রোত ঠেলে ফেরিগুলো স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারছে না। দ্বিগুণেরও বেশি সময় নিয়ে শুক্রবার ভোর থেকে চারটি ফেরি চললেও স্রোতের তীব্রতা বাড়ায় গত কাল সন্ধ্যা থেকে মাত্র দুটি ফেরি চলাচল করছে। স্রোতের বিপরীতে ফেরিগুলো চালানো হলে মাঝপথে ইঞ্জিন বিকল হতে পারে। এতে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।