মুন্সিগঞ্জ, ০১ জানুয়ারি, ২০২০, মোঃ জাফর মিয়া (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে পদ্মাসেতুর ২০ তম স্প্যান ‘৩-এফ’ ১৮ ও ১৯ নম্বর পিলারের উপর বসানো হয়েছে।
আর এর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হলো পদ্মাসেতুর তিন কিলোমিটার।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুর ১ টায় সময় ২০ তম স্প্যানটি সবানো সম্পন্ন হয়। ১৯তম স্প্যান বসানোর ১৩ দিনের মাথায় বসলো ২০তম স্প্যান।
পদ্মাসেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আব্দুল কাদের জানান, আজ সকাল সাড়ে নয়টায় ১৫০ মিটার দীর্ঘ ও ৩ হাজার ১৪০ টন ওজনের ২০ তম স্প্যানটিকে বসানোর জন্য, ৩ হাজার ৬০০ টন ধারণ ক্ষমতার ‘তিয়ান-ই’ ভাসমান ক্রেনে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া কুমারভোগ কন্সট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে বহন করে সাড়ে দশটায় মাওয়া প্রান্তে ১৮ ও ১৯ নং পিলারের কাছে গিয়ে পৌচ্ছে। এর পর স্প্যানটিকে পিলারের উপরে তোলার কার্যক্রম শুরু হয়। দুপুর ১ টায় স্প্যানটি বসানো সম্পন্ন হয়।
১৯তম স্প্যান বসানোর ১২ দিনের মাথায় বসানো হলো ২০ তম স্প্যান। এ শিডিউল মেনে স্প্যান বসাতে পারলে আগামী ২০২০ সালের বছরের জুলাই নাগাদ ৪১টি স্প্যান বসানো শেষ হবে।
পদ্মা সেতুর প্রকৌশলী সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সাল থেকে পদ্মা সেতুর কাজ শুরুর পর থেকে ২০১৯ সাল সব ধরনের জটিলতা শেষ করে এ বছরই মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে পদ্মাসেতুতে বসেছে একে একে ১৩টি স্প্যান। চলতি মাসেই বসেছে ৩ টি স্প্যান।
সবমিলিয়ে এখন পর্যন্ত ২০টি স্প্যানে দৃশ্যমান হলো পদ্মাসেতুর তিন কিলোমিটার।
পদ্মাসেতুর মোট ৪২টি পিলারের মধ্যে বর্তমানে কাজ সম্পন্ন হয়েছে ৩৫টির। সেতুতে ২ হাজার ৯৫৯টি রেলওয়ে স্ল্যাবের মধ্যে ৪১০টি রেল স্ল্যাব বসানো হয়েছে। ২ হাজার ৯১৭টি রোডওয়ে স্ল্যাবের মধ্যে ১২৫টি স্ল্যাব বসানো শেষ হয়েছে।
পদ্মাসেতুর মোট ৪১টি স্প্যানের মধ্যে চীন থেকে মাওয়ায় এসেছে ৩৩টি স্প্যান।
এর মধ্যে ১৯টি স্প্যান স্থায়ীভাবে বসে গেছে। ৬ দশমিক ১৫ দৈর্ঘ্যের দ্বিতল সেতুটি কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে।
চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেড মূল সেতু নির্মাণের কাজ করছে।