মুন্সিগঞ্জ ২০ অক্টোবর, ২০১৯, গজারিয়া প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার মেঘনা নদীতে মা ইলিশ রক্ষার অভিযানে গিয়ে স্থানীয় জেলেদের বাঁধার মুখে পড়তে হয়েছে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট, মৎস্য অফিসের কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের।
এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়তে হয়েছে পুলিশকে।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গোয়ালগাঁও এলাকায় দুই জেলেকে আটককালে স্থানীয় মৌসুমি জেলেদের বাঁধার মুখে পড়ে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট, মৎস্য অফিস, গজারিয়া থানা পুলিশ, নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা।
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরার জন্য অভিযান চলাকালে ১৯ জেলেকে ৫ হাজার করে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
গজারিয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আসলাম হোসেন শেখ জানান, সকালে গজারিয়া ঘাট থেকে মা ইলিশ রক্ষা অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এসময় গোয়ালোগাঁও এলাকার দুই জেলেকে ইলিশ শিকারের দায়ে আটকের চেষ্টা করে ভ্রাম্যমান আদালত। এসময় আটক দুই জেলে সাঁতার না জেনেও পানিতে লাফ দেয়। তাৎক্ষণিক তাদের বাঁচানোর জন্য নদীর পাড়ে অবস্থানকালে স্থানীয়দের বাঁধার সম্মুখীন হতে হয়েছে ভ্রাম্যমান আদালতকে।
বাঁশ, ধারালো অস্ত্র, লাঠি নিয়ে চড়াও হতে শুরু করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে এক রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে পুলিশ।
এসময় জেলেদের আক্রমণে একজন পুলিশ কনস্টেবল আঘাতপ্রাপ্ত হয়।
এ অভিযান শেষে ১৯ জেলেকে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
অভিযানে ৫০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল ও ২০ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, যারা আক্রমণ করেছে তারা অজ্ঞাত এবং তাদের কাউকে আটক করা যায়নি। তাই এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস এম ইমাম রাজী টুলু জানান, স্থানীয়দের বাঁধার মুখে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতেই এক রাউন্ড ফাঁকা গুলি করা হয়। তবে এ ঘটনায় কোনো মামলা হবে না। বেলা সাড়ে ১২টায় জেলেদের জরিমানা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।