দেশের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগের মধ্যেই এবার মুন্সিগঞ্জ শহরে থানার কাছেই এক সাংবাদিককে মারধর করেছেন পুলিশের এক এসআই (উপপরিদর্শক)।
আজ মঙ্গলবার দুপুর দুইটার দিকে মুন্সিগঞ্জ জেলা শহরে অবস্থিত প্রেসক্লাবের সামনের চায়ের দোকানে সাংবাদিক নাদিম মাহমুদকে মারধর করেন ওই এসআই।
প্রেসক্লাবের প্রধান ফটকের সামনে এভাবে সাংবাদিক লাঞ্ছিতের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন সাংবাদিকরা। তারা ওই পুলিশ কর্মকর্তার দ্রুত বিচার দাবি করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জামিল নামে সদর থানার এক এসআই (উপপরিদর্শক) চায়ের দোকানে আসেন। ‘বাবা তোমাকে কী চা দেব’ দোকানদার জিজ্ঞাসা করতেই জামিল রেগে গিয়ে চা দোকানদারকে মারধর শুরু করেন। এক পর্যায়ে সেখানে উপস্থিত ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকম ও আমাদের অর্থনীতির জেলা প্রতিনিধি নাদিম মাহমুদ তাকে বলেন, ‘আপনি পুলিশ হয়ে একজন নিরীহ দোকানদারকে মারলেন।’
সাংবাদিক নাদিম মাহমুদ এ কথা বলতেই তাকেও সাথে সাথে চর, লাথি ও ঘুষি মেরে আহত করেন এসআই জামিল।
এ সময় ওই এসআই উচ্চকণ্ঠে বলতে থাকেন, ‘আমি এসআই জামিল, আমাকে আমার বাবাও ভয় পায়।’
উত্তেজিত ওই পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘এই সকল লোক সব কুত্তার বাচ্চা। এখান থেকে সব দোকান সরিয়ে দেব।’
এদিকে সদর থানার ওই এসআইয়ের এমন অপরাধমূলক ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডে দুঃখ প্রকাশ করেছেন মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইউনুচ আলী।
তিনি অাশ্বাস দিয়ে বলেন, এর জন্য আমরা দুঃখিত। এ ব্যাপারে আমরা তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
এদিকে এ ঘটনায় মুন্সিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব ভবতোষ চৌধুরী নুপুর নিন্দা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘ঘটনাটি আমাদের সামনেই ঘটেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও সুষ্ঠু বিচার কামনা করছি’।
এক সপ্তাহ অাগে অাইজিপি পুলিশকে অাচরণে পেশাদারি মনোভাব বজায় রাখতে তথাপি পুলিশের কাজে কেউ বাধা দিলে তার বিরুদ্ধে তৎক্ষনাৎ কোন পদক্ষেপ না নিয়ে তাকে থানায় নিয়ে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে অালোচনা করে এরপরে কোন পদক্ষেপ নিতে বলেন। মুন্সিগঞ্জের অাজকের ঘটনায় অাইজিপির সেই নির্দেশ কেও অমান্য করা হয়েছে।
মুন্সিগঞ্জে পুলিশের এধরনের ঔদ্ধত্যপূর্ণ অাচরণ নিয়ে প্রায়ই গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলেও বিষয়টি নিয়ে দৃশ্যত কোন পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছেন মুন্সিগঞ্জের পুলিশ সুপার। যার ফলে এর মাত্রা অারও বাড়ছে।