শিহাব আহমেদঃ ঈদকে সামনে রেখে পানীয় মাদক দ্রব্য বিশেষত (দেশী-বিদেশী মদ, বিয়ার) এর বাড়তি চাহিদা মেটাতে মুন্সীগঞ্জে অল্পবয়সী অনিয়মিত মাদক ব্যাবসায়ীরা প্রশাসনের দৃষ্টি ফাকি দিয়ে বেশ তৎপর হয়ে উঠেছে।
উল্লেখিত মাদক ব্যাবসায়ীরা মূলত ২০০-৫০০ টাকা’র বিনিময়ে মাদকসেবীদের কাছ থেকে নগদ টাকা নিয়ে নারায়ণগঞ্জ শহরে অবস্থিত ‘নারায়ণগঞ্জ ক্লাব’ থেকে মাদক কিনে নারায়ণগঞ্জ লঞ্চঘাট থেকে লঞ্চযোগে মুন্সীগঞ্জে মাদক সরবরাহ করে থাকেন।
এই সরবরাহের জন্য তাদের কাছে এখন সবচেয়ে সুবিধাজনক রুট মুন্সীগঞ্জ কেন্দ্রীয় লঞ্চঘাট। এর কারন হচ্ছে নারায়নগঞ্জ-মুন্সীগঞ্জ সড়কপথে পুলিশের কড়া নজরদাড়ি। যার কারনে গাড়িতে বা অন্য মাধ্যমে মাদক বহন করে নিয়ে আসা প্রায় অসম্ভব।
এইসব মাদক লঞ্চঘাট হয়ে মুন্সীগঞ্জে ঢোকার পরে মুহুর্তেই ছড়িয়ে পড়ছে জেলা শহর ও এর আশেপাশের অথাৎ কোর্টগাও, মানিকপুর,হাটলক্ষীগঞ্জ, খালইষ্ট, মাঠপাড়া, ইসলামপুর, মালপাড়া ইত্যাদি এলাকায়।
এই মাদকের সরবরাহকারীরাও যেমন অল্পবয়সী ঠিক তেমনি ক্রেতাও উঠতি বয়সী কিশোরেরা। আর এই বয়সী কিশোরদের চাহিদাও শুধুমাত্র কিছু বিশেষ দিবস বা উৎসব কে কেন্দ্র করে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মুন্সীগঞ্জ লঞ্চঘাটের একজন শ্রমিক দিয়েছেন এসব বিস্তারিত তথ্য।
অন্যদিকে মুন্সীগঞ্জ লঞ্চঘাট এলাকায় আজ ১৬জুলাই বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় সেখানে মুন্সীগঞ্জ পুলিশের ঈদ উপলক্ষ্যে বিশেষ নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশের একটি টিম টহল দিচ্ছে। টহল টিমের নেতৃত্ব দেয়া মুন্সীগঞ্জ সদর থানার এসআই শেখ সাদি জানান, ‘মুন্সীগঞ্জের মানুষের নিরাপত্তায় পুলিশ সর্বদা সতর্কাবস্থায় আছে। আর মাদকও যেহেতু পরোক্ষভাবে মানুষের জন্য হুমকিস্বরুপ তাই আমরা এবিষয়েও কঠোর দৃষ্টি রাখবো’।
এ প্রসঙ্গে মুক্তারপুর নৌ পুলিশ ফাড়ির অফিসার ইনচার্জ এসআই মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আনীত অভিযোগ বা তথ্য সম্পর্কে আমি অবগত নই, তবে বিষয়টি আমি গুরুত্বের সাথে দেখবো’।