২২শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
শনিবার | দুপুর ২:৫০
সিরাজদিখানে দুই ধর্ষক গ্রেফতার
খবরটি শেয়ার করুন:

সিরাজদিখানে আলোচিত সেতু মন্ডল (১২) ধর্ষণ মামলার দুই আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানানো হয়, অপহরণ, ধর্ষণ ও আত্মহত্যা সংগঠনে প্ররোচনাদানকারী প্রধান আসামীসহ দুইজনকে পুলিশ গ্রেফতার করে।

আসামীরা হলো, মোঃ সোহেল খান (২৩), পিতা- মৃত হেলাল খান এবং পলাশ রাজবংশী (২২), পিতা- ফালান রাজবংশী, উভয় সাং- দৌলতপুর, থানা- নবাবগঞ্জ, জেলা।

এ ঘটনায় সিরাজদিখান থানার মামলা নং- ১৭, তারিখ- ১৮/০৪/২০১৯ ইং, ধারা- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ২০০০ (সংশোধনী/২০০৩) এর ৭/৯(১)/৯ক/৩০।

সেতু মন্ডল সিরাজদিখান উপজেলার চিত্রকোট ইউনিয়নের গোয়ালখালি গ্রামের কুয়েত প্রবাসী গোপাল মন্ডলের মেয়ে।সে নিজ গ্রামের পাশ্ববর্তী ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার দৌলতপুর কবি নজরুল উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী।

সেতু মন্ডলের জেঠা পবিত্র মন্ডল জানান, গত বুধবার সকালে বসত-ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দেয় স্কুল ছাত্রী সেতু। তাৎক্ষনিক পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মিডফোর্ট হাসপাতালে ভর্তি করলে ওই দিন বিকেলে মারা যায়।

তিনি আরো জানান, গত ৯ই এপ্রিল সেতু মন্ডল স্কুলের যাওয়ার উদ্দেশ্যে নিজ বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর সে আর বাসায় ফিরেনি। দুই দিন পর ১১ এপ্রিল ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলার গোলামবাজার পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। পরে পুলিশ তার বাড়িতে খবর দিলে পরিবারের লোকজন গোলামবাজার ফাঁড়ি থেকে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসে। বাড়িতে ফেরার ৫ দিন পর বুধবার সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।

ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলার গোলামবাজার পুলিশ ফাঁড়ির এসআই কবিরুল ইসলাম জানান, ১১ই এপ্রিল গোলামবাজার এলাকায় এক যুবকের সঙ্গে ওই স্কুল ছাত্রীকে ঘুরাফেরা করতে দেখা যায়। এতে পুলিশ যুবক ও স্কুল ছাত্রীকে ফাঁড়িতে নিয়ে আসে। পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে যুবককে ছেড়ে দেওয়া হয় ও স্কুল ছাত্রীকে তার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ৫ দিন পর সেতু মন্ডল আত্মহত্যা করে। এ ঘটনায় সেতু মন্ডলের মা বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেপ্তারকৃত সোহেলকে প্রধান আসামি এবং অজ্ঞাত আরো ২জনকে আসামি করে অপহরণ ও ধর্ষণসহ ৪টি ধারায় মামলা দায়ের করেন।

সিরাজদিখান থানার ওসি মো. ফরিদউদ্দিন মামলার বাদী রেখা মন্ডলের বরাত দিয়ে জানান, সেতু মন্ডল উদ্ধারের সময় অনেকটা অচেতন ছিল। কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর তার মাকে জানিয়েছে, সোহেল নামের এক যুবক তাকে সেখানে নিয়ে যায়। পর দিন একটি স্থানে ফেলে রেখে কৌশলে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।

পুলিশের ধারণা, মেয়েটি ধর্ষণের স্বীকার হয়েছিল এবং কোন নেশাজাতীয় দ্রব্য খাওয়ানো হয়। মেয়েটি কিছুটা স্বাভাবিক অবস্থার পরই আত্মহনণের পথ বেছে নেয়। ওসি সেতু মন্ডলের মা রেখা মন্ডলের বরাদ দিয়ে আরও বলেন, মান সম্মানের ভয়ে সেতু মুখ খুলেননি। হাসপাতালে পর্যন্ত নেননি।

error: দুঃখিত!