মুন্সিগঞ্জ, ২৫ এপ্রিল, ২০২১, শ্রীনগর প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয়ে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের উপজেলা সভাপতিকে নিয়ে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ রোববার (২৫ এপ্রিল) দুপুর ১২ টায় শ্রীনগর প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে শ্রীনগর উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি স্বপন রায় বলেন, তাদের মালিকানাধীন পশ্চিম দেউলভোগ মৌজায় সিএস ও এসএ ৪৬৬নং দাগ ও আরএস খতিয়ানের ৪৬৮নং দাগের ৪৮ শতাংশ জমি নার্সারী করার জন্য ২ বছরের চুক্তিতে আরধীপাড়া এলাকার আব্দুল খালেকের জামাতা আব্দুল কাইয়ূম প্রতি বছর ৫০ হাজার টাকায় ভাড়া নেয়। পরবর্তীতে সেই চুক্তি আরো ৩ বছরের জন্য নবায়ণ করে। ৫ বছর পার হওয়ার পর তাকে একাধিকবার জায়গা ছেড়ে দিতে বললেও সে তাতে কর্ণপাত করেনি। আমাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মসিউর রহমান মামুন দুই পক্ষকে ডেকে সালিশ মিমাংসা করে দেন। সালিশে কাইয়ূমকে ৩ মাসের সময় দেওয়া হয়।
৩ মাস পর সে জায়গা ছাড়তে তালবাহানা শুরু করলে আমরা একাধারে শ্রীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জের দ্বারস্ত হই। কাইয়ূম তাদের দেওয়া সিদ্ধান্তও অমান্য করে। পরবর্তীতে স্থানীয়দের উপস্থিতিতে আমি আমার জায়গা বুঝে নিলে সে তার গাছপালা সরিয়ে নিয়ে একটি ছাপড়া ঘরের চালা পাশে সরিয়ে রাখে। গত কয়েকদিন আগে কাইয়ূম বীরতারার জাকির লস্করকে নিয়ে সেই টিনের চালাটি খুটি দিয়ে উত্তোলণ করে আমার জায়গাটি দখলের পায়তারা করে। পরদিন আমি স্থানীয় গণ্যমান্যদের সাথে নিয়ে সেই চালাটি সরিয়ে দিয়ে আমাদের জায়গায় বাউন্ডারী বরাবর টিনের বেড়া দেই। বিষয়টিকে সরকারী জায়গা দখল করেছি মর্মে কাইয়ূম তার সহযোগীদের মাধ্যমে ফেইসবুকসহ বিভিন্ন গনমাধ্যমে প্রচার করেছে।
এতে আমার ও আমার পরিবারের যথেষ্ট সম্মান ক্ষুন্ন হয়েছে। তিনি আরো বলেন, এলাকায় সম্ভ্রান্ত পরিবার হিসাবে আমরা ষোলঘর একেএসকে উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জমি দান করেছি।
তিনি কাইয়ূম গংদের অত্যাচার হতে রক্ষা পেতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, কাইয়ূমের বাড়ি ময়মনসিংহে। সে কয়েক বছর আগেও শ্রীনগর থানায় রাইটার হিসাবে কাজ করতো। পরে মাল্টিলেভেল মার্কেটিং কোম্পানী ডেসটিনিতে যোগ দিয়ে বহু লোকের টাকা পয়সা হাতিয়ে নেয়। পরে নাম সর্বস্ব মানবাধিকার সংগঠনের সাইনবোর্ড লাগিয়ে নিজেকে অফিসার হিসাবে পরিচয় দিতে থাকে। ২ বছর আগে সে মানবাধিকার কর্মী পরিচয়ে ষোলঘর এলাকায় একটি জায়গা দখল করতে গিয়ে প্রতিবাদের মুখে ব্যর্থ হয়। বিষয়টি সেই সময় বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় খবর হিসাবে প্রকাশ হয়েছিল।
সংবাদ সম্মেলনে এসময় উপস্থিত ছিলেন শ্রীনগর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পদক অধীর দত্ত, সহ-সভাপতি অজিত সরকার, শ্রীনগর উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সহ-সভাপতি প্রদীপ ঘোষ, ছাত্র যুব ঐক্য পরিষদের সহ-সভাপতি অভিজিৎ রায় সিধু প্রমুখ।