২০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
রবিবার | রাত ৩:১০
শাহীনের মনোনয়ন নিয়ে মিরকাদিমে উত্তেজনা থামেনি
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সীগঞ্জের মিরকাদিম পৌরসভায় গত ৩ মাস আগে শহিদুল ইসলাম শাহীন আওয়ামী লীগে যোগদান করে দলীয় মেয়র পদে মনোনীত হওয়ায় তীব্র উত্তেজনা ও চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছেন।

স্থানীয় মনোনয়ন বোর্ড বিতর্কিত শাহীনকে মনোনয়ন করায় মুন্সীগঞ্জের মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের জনগোষ্ঠী ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ ঘরানার লোকজন এ মনোনয়ন বাতিলের দাবি তুলেছেন। সেখানে গত ৪০ বছর ধরে আওয়ামী লীগ রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বায়রার মহাসচিব, এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক, জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক এবং সাবেক সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মনছুর আহামেদ কালামকে মনোনয়ন দেয়ার জন্য কেন্দ্রের কাছে দাবি তুলেছেন।

এদিকে, শাহীনের নামে মুন্সীগঞ্জে রাজাকারের নাতিকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেয়ায় অভিযোগ, রাজাকারের নাতিকে মনোনয়ন দেয়ার সিদ্ধান্তে ক্ষোভ, মনোনয়ন নিয়ে মুন্সীগঞ্জ আওয়ামী লীগে অসন্তোষসহ বিভিন্ন শিরোনামে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও অনলাইন সংবাদ মাধ্যমগুলোতে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এসব সংবাদ মিরকাদিম ও মুন্সীগঞ্জ জেলায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে। আওয়ামী লীগের মতো একটি দলে এ রকম প্রার্থীকে স্থানীয় মনোনয়ন বোর্ড মনোনীত করায় নানা প্রশ্ন বইছে জেলা জুড়ে। হোটেল-চায়ের দোকানসহ সবখানেই এখন আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত হয়েছে মিরকাদিমের ওই মেয়রকে ঘিরে।

এদিকে, শাহীনের পক্ষে কাজ না করায় থানা হাজতবাস করে ১২ ঘন্টা পর ছাড়া পেয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা মেয়র প্রার্থী মনছুর আহামেদ কালামের পক্ষের জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি মো. সুমন দেওয়ান। শাহীনের সোমবার ঢাকা থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে ওইদিন রাত ১২ টার দিকে শাহীনের নেতৃত্বে সুমনকে মিরকাদিমের গোয়ালঘুর্নি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে কবরস্থান সড়ক থেকে পুলিশের হাতে তুলে দেয় বলে মনছুর আহামেদ কালাম জানিয়েছেন।

তিনি জানান, তুই আমার অনেক ক্ষতি করিছিস এবং পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ফটোকপি বিলি করার দায়ে শাহীন রামপাল পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশের হাতে তুলে দেয় সুমনকে। পরে আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় রামপালের সুখবাসপুর পুলিশ ফাঁড়ি থেকে সাদা কাগজে মুচলেকা নিয়ে পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয়।

error: দুঃখিত!