মুন্সিগঞ্জ, ৮ অক্টোবর ২০২৩, নিজস্ব প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
মেঘনা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় নিখোঁজ শিশু ও স্কুল শিক্ষকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার (৮ অক্টোবর) উদ্ধার অভিযানের তৃতীয়দিনে চাঁদপুরের মোহনপুর এলাকায় ভাসমান অবস্থায় মারোয়া (৮) ও সকাল ১০টার দিকে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া অংশের মেঘনা নদী থেকে সাব্বির হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধার অভিযানে অংশ নেওয়া বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের উপ-পরিচালক মো. ওবায়দুল করিম খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সাব্বির রংপুরের একটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকতা করতেন। জান্নাতুল মারওয়া গজারিয়ার দক্ষিণ ফুলদি এলাকায় কাজী বোরহানের মেয়ে।
এ ঘটনায় এখনো নিখোঁজ রয়েছে তিনশিশু। তারা হলেন- নিহত সুমনের দুই মেয়ে জান্নাতুল মাওয়া (৬) ও সাফা (৪) এবং সাব্বিরের ২২ মাস বয়সী শিশু ইমাদ।
এর আগে শনিবার (৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার রমজানবেগ এলাকা থেকে নিখোঁজ সুমনা আক্তারের (২৮) মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
শুক্রবার সাগর ও নদীতে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেতের মধ্যেই মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ার উপজেলার দৌলতপুর থেকে চালকসহ ১২ জন আত্মীয়-স্বজন মিলে মুন্সিগঞ্জ-নারায়ণগঞ্জের সীমান্তবর্তী চর কিশোরগঞ্জ এলাকায় ট্রলারযোগে ঘুরতে আসেন তারা।
ঘুরাঘুরি শেষে সন্ধ্যায় ফেরার পথে মেঘনা নদীর মুন্সিগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জের সীমান্তবর্তী স্থানে বালুবোঝাই বাল্কহেডের ধাক্কায় ট্রলারটি ডুবে যায়। স্থানীয়দের সহযোগিতায় চালকসহ সাতজন সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও নিখোঁজ হয় চার শিশুসহ ছয়জন।