১৩ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
বৃহস্পতিবার | রাত ১০:১৮
মুন্সিগঞ্জে ৫০ বছরের বয়স্ক লোকের সাথে ১২ বছরের শিশুর বিয়ে
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ, ১১ অক্টোবর, ২০২০, টংগিবাড়ী প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)

মুন্সিগঞ্জে ৫০ বছরের বয়স্ক লোকের সাথে ১২ বছরের শিশুকে বিয়ে দিয়েছে মেয়েটির বাবা-মা।

৫০ বছর বয়সী দিদারুল ইসলাম আগেও একটি বিয়ে করেছেন। এ ঘটনায় ওই এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা যায়, মুন্সিগঞ্জের টংগিবাড়ী উপজেলায় ১২ বছরের এক মেয়েকে বাল্য বিয়ের অপরাধে ৫০ বছর বয়স্ক বর দিদারুল ইসলাম দিদারকে ১ বৎসরের কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত।

আজ রোববার সন্ধায় টংগিবাড়ী উপজেলার কামারখাড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।

পরে রাতে অভিযুক্ত বরকে সাঁজা প্রদান করেন ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও টংগিবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসিনা আক্তার। দন্ড প্রাপ্ত দিদারুল হোসেন দিদার উপজেলার বেসনাল গ্রামের আঃ কাদির বেপারীর ছেলে।

জানা গেছে, মুদি দোকানদার দিদার হোসেন (৫০) প্রথম স্ত্রী রেখে ১২ বছরের ওই নাবালিকা শিশুকে সরাহ কাবিনের মাধ্যমে বিয়ে করেন। ওই শিশু একই উপজেলার পার্শ্ববতী পয়শাগাঁও গ্রামের সাইজউদ্দিনের মৃধার মেয়ে মাহফুজা (১২) ।

পয়শাগাঁও গ্রামের স্থানীয় কতিপয় বাসিন্দা জানান, এটি দিদারুলের ২য় বিবাহ, ১ম স্ত্রীকে রেখেই ওই অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েকে বিয়ে করে সে।

উপজেলার মিতারা গ্রামের ইয়াসিন হুজুর নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে গত বুধবার (৭অক্টোবর) রেজেষ্ট্রি ছাড়াই সরাহ কাবিনের মাধ্যমে এ বিয়ে পড়ান।

এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী মাহফুজার মামা তাজুল ইসলাম জানান, আমার বোন ও বোনের স্বামী কিছুটা বুদ্ধি প্রতিবন্ধি ধরনের। তাদের ২ জনকে ফুসলিয়ে পার্শ্ববর্তী দিদার হোসেন আমাদের কাউকে না জানিয়ে এ জঘন্য কাজটি করেছেন। আমরা এর বিচার চাই।

অভিযুক্ত বর দিদার হোসেন বলছেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা, আমি বিশ বছর আগে বিয়ে করি। কিন্তু এখনোও আমি নিঃসন্তান। এক মাস, দুই মাস বা ছয় মাস পরে আমি আরেকটি বিয়ে করবো। আমার প্রথম স্ত্রী আমার টাকা পয়সা আত্মসাৎ করার জন্য আমার বিরুদ্ধে নানাবিধ অপপ্রচার চালাচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাসিনা আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বাল্য বিয়ের খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযুক্ত ব্যাক্তি বিয়ের বিষয়টি স্বীকার করলে ভ্রাম্যমান আদালতে তাকে বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন, ২০১৭ অনুযায়ী ১ বৎসর কারাদন্ড প্রদান করে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়। অবৈধ বিয়ে পড়ানোর সাথে জড়িত কাজী কে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। খোঁজ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

error: দুঃখিত!