৩০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
বুধবার | সন্ধ্যা ৭:৪২
মুন্সিগঞ্জে লিয়াজু’র ফাদে অাটকে গেছে বিএনপি
খবরটি শেয়ার করুন:

শিহাব অাহমেদঃ টানা ১০বৎসর যাবৎ ক্ষমতার বাইরে অাছে বিএনপি। গত ৫ই জানুয়ারি’র একতরফা নির্বাচনের পূর্বে ‘বিএনপি’র ঘাটি হিসেবে পরিচিত মুন্সিগঞ্জে বিএনপি’র রাজনৈতিক কর্মকান্ড কিছুটা দৃশ্যমান হলেও রাজনীতি’র দৃশ্যপট পাল্টালে রুপও বদলে গেছে বিএনপি’র।

এরপরে কয়েকদফা অব্যহত মামলা’র ফাদে পা অাটকে গেছে মুন্সিগগঞ্জের বিএনপি সমর্থক নেতা-কর্মীদের। একসময় ব্যনার সর্বস্ব রাজনীতিও ছেড়ে দিয়েছে নেতা-কর্মীরা। পরের ধাপে ‘ভার্চুয়াল পলিটিক্স’ বা ‘মিডিয়া নির্ভর পলিটিক্স’ নামে নতুন তত্ত্ব অাবিস্কার করে নিয়েছেন নিজেরাই। এতে লাভও হয়েছে কিছুটা।

মুন্সিগঞ্জের প্রথম সারির বেশ কয়েকজন নেতা দল ছেড়ে গেলেও কর্মী কমেনি দলের। কোন্দল-অভ্যন্তরীন হানাহানি না থাকায় তৃণমূলে এখনো ভালো অাছে বিএনপি। পুরোতন কর্মী-সমর্থক কমার বিপরীতে ক্ষমতাসীন অাওয়ামীলীগের চেয়ে বেড়েছে বিএনপি’র।

পুরোতন যে সকল কর্মীরা বিএনপি ছেড়ে গেছেন তারা জেলা ও প্রায় প্রতিটি উপজেলার শীর্ষস্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগ করেন তার মধ্যে সব চেয়ে বেশি শোনা যায় লিয়াজু বা ‘মিলেমিশে রাজনীতি’ করার অভিযোগ। তবে এভাবে লিয়াজু করে চলাও যে রাজনীতিরই একটি অংশ সেটাই মানতে নারাজ এসকল সরল মনের তৃণমূলের সাধারণ কর্মীরা।

তাদের বক্তব্য- বিএনপি’র জেলা সভাপতি অাবদুল হাই তার ছোট ভাই সদর উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি মহিউদ্দিন অাহমেদ সরাসরি অাওয়ামীলীগের সাংসদ মৃণাল কান্তি দাস, জেলা অাওয়ামীলীগের সভাপতি মহিউদ্দিন ও তার ছোট ভাই সদর উপজেলা অাওয়ামীলীগের সভাপতি অানিসউজ্জামান অানিস এর সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলেন। পরের ধাপে মহিউদ্দিন-অানিস এর ছেলেরাও একই কাজ করেন। এর পরের ধাপে একই কাজ করেন জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন ইউনিটের বিএনপি’র বিভিন্ন অঙ্গ-সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকরা।

এতে তারা নিজেরা রাজনৈতিক হামলা-মামলা থেকে নিরাপদে থাকতে পারেন। অার এর প্রভাব পড়ে সরাসরি তৃনমূলের কর্মীদের উপর। সরকার থেকে বিএনপিকে চাপে রাখার নির্দেশে ‘বলির পাঠা’ হয়ে দাড়ায় এসব তৃণমূলের সাধারণ কর্মীরা।

রাজনৈতিক স্থর ছাড়াও বিএনপি’র এসব নেতারা বিভিন্ন ‘বিনিময়ে’ লিয়াজু করেন প্রশাসনের সাথে, বিএনপি পন্থী মিডিয়া কর্মীদের সাথে।

অার এভাবে লিয়াজু তে বিরক্ত কর্মীরা নিজেদের ‘শক্তি’ প্রমাণ করতে কর্মসূচীতে অংশ নেন না। এই ক্ষতি দলীয় দৃষ্টিতে তেমন একটা দৃশ্যমান না হলেও ভোটের রাজনীতিতে এর প্রভাব ব্যাপক হয়ে দাড়ায়।

error: দুঃখিত!