২৪শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সোমবার | রাত ১২:৪২
মুন্সিগঞ্জে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে ছেলে সন্তানের মা হলেন গুলিবিদ্ধ নারী
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ, ৩১ জানুয়ারি ২০২৫, নিজস্ব প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)

মেঘনা নদীতে গোলাগুলিতে দুইজন নিহতের ঘটনার জেরে গুলিবর্ষণে আহত অন্তঃসত্ত্বা নারী পিংকি আক্তার (১৯) ছেলে সন্তানের মা হয়েছেন।

আহত নারীর স্বামী মো. সম্রাট জানান, শুক্রবার বিকালে শহরের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে ছেলে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন তার স্ত্রী। বর্তমানে দুজনেই সুস্থ আছেন।

এর আগে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আধারা ইউনিয়নের কালিরচর গ্রামে গুলিবিদ্ধ হন তিনি।

একাধিক ডাকাতি মামলার আসামি কিবরিয়া মিজি ও কানা জহিরের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে।

আহত নারীর মা নুরজাহান বেগম অভিযোগ করে জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার মেঘনা নদীতে গোলাগুলিতে দুইজন নিহতের ঘটনার জের ধরে সকালে কিবরিয়া পক্ষের আমার ছেলে রাজু সরকারের বাড়িতে হামলা চালায় স্থানীয় কানা জহিরের ভাই শাহিন বেপারি ও তার লোকজন। এসময় অতর্কিত গুলিতে আহত হন ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা পিংকি। আজকেই তার ডেলিভারির তারিখ ছিলো।

আহত নারী পিংকি আক্তার বলেন, আমার ভাইয়ের সাথে ওদের ঝগড়া। আজকে ওকে দৌড়ে পিছন পিছন আসে শাহিন ও তার লোকজন। এসময় আমাকে দরজার সামনে পেয়ে গুলি করে দেয়। গুলিটি আমার ডান পাশের কোমড়ের নিচে পায়ে ঢুকে অপরদিক থেকে বের হয়ে যায়। এতে আমি ও আমার সদ্য ভূমিষ্ট সন্তান কোনরকমে প্রাণে রক্ষা পাই।

গুলির অভিযোগ অস্বীকার করে জহির ইসলাম ওরফে কানা জহির বলেন, কিবরিয়া মিজির কাছ থেকে বালু ব্যবসার টাকা এনে এলাকায় ভাগবাটোয়ারা করছিলো পিংকির বাবা শাহজাহান সরকার। এ নিয়ে এলাকায় বিতর্কের সৃষ্টি হলে নিজেরাই গুলির নাটক সাজিয়েছে।

মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খলিলুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় পিংকির স্বামী মো. সম্রাট বাদী হয়ে কানা জহির ও তার ভাইসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও সাত-আটজনকে আসামি করে মামলা করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

প্রসঙ্গত; বৃহস্পতিবার রাতে মেঘনা নদীতে মুন্সিগঞ্জ-চাঁদপুর সীমান্তে কিবরিয়া মিজি ও কানা জহির গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত হন মুন্সিগঞ্জ সদরের আধারা ইউনিয়নের ভাষানচর এলাকার কামাল ফকিরের পুত্র রাসেল ফকির (৩৩) ও চাঁদপুরের মতলব থানার তুহিন (২৯)।

error: দুঃখিত!