মুন্সিগঞ্জ, ১৯ জানুয়ারি ২০২৪, নিজস্ব প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জ সদরের পঞ্চসার ইউনিয়নের পশ্চিম মুক্তারপুরে আধিপত্য ও সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচনে নৌকা ও স্বতন্ত্রের পক্ষ-বিপক্ষ নিয়ে বিরোধের জেরে হামলা-পাল্টা হামলায় শ্রমিক লীগ নেতাসহ উভয়পক্ষের ৯ জন আহত হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আজ শুক্রবার জুমার নামাযের পর পশ্চিম মুক্তারপুরের ক্রাউন সিমেন্ট সংলগ্ন এলাকায় শ্রমিক লীগ নেতা ইসমাইল দেওয়ান ও আওয়ামী লীগ নেতা শাহ আলম হাওলাদারের লোকজনের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।
এতে আহতরা হলেন, পশ্চিম মুক্তারপুর এলাকার কামাল দেওয়ানের পুত্র সদর থানা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল দেওয়ান (৪০) ও তার পক্ষের মো. সবুজ (৩০), রনি মোল্লা (২৪) ও ইসমাইল বেপারি (৩৭)।
অন্যদিকে, শাহ আলম হাওলাদার পক্ষের আহতরা হলেন- ইমু (১৬), তারমিন (৩০), আকলিমা (৪০), সুমি (৩২) ও ডলি বেগম (২৬)।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইসমাইল দেওয়ান পরাজিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মৃণাল কান্তি দাস ও শাহ আলম হাওলাদার বিজয়ী কাঁচি প্রতীকের প্রার্থী ফয়সাল বিপ্লবের সমর্থক ছিলেন। এই দুইজনের মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছিলো। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এই বিরোধ আরও চরম আকার ধারণ করে।
মারপিটের শিকার শ্রমিক লীগ নেতা ইসমাইল দেওয়ান অভিযোগ করে জানান, ‘জুমার নামাজ পড়ে বাড়ি ফিরছিলাম। এসময় আওয়ামী লীগ নেতা শাহ আলম, তারমিন, রাজিবসহ আরও ১০-১৫জন বিদেশী পিস্তল, লোহার রড নিয়ে আমার উপর হামলা করে। খবর পেয়ে সবুজ ও রনি মোল্লা আমাকে উদ্ধার করতে গেলে তাদেরও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও লোহার রড দিয়ে বেধড়ক পেটায় তারা।’
পাল্টা অভিযোগ করে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য শাহ আলম হাওলাদার বলেন,‘সর্বশেষ সংসদ নির্বাচনে আমি কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ফয়সাল বিপ্লবের সমর্থক ছিলাম। দুইদিন আগে ইসমাইলরা এলাকায় নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমার টানানো ব্যানার ছিড়ে ফেলে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগও দিয়েছিলাম। শুক্রবার দুপুরে ইসমাইল লোকজন নিয়ে আমার বাড়িতে হামলা করে। এতে আমার স্ত্রী-ভাইসহ ৫জন আহত হয়। খবর পেয়ে লোকজন ছুটে গিয়ে ইসমাইলকে পেয়ে লাথি-ঘুষি দিয়েছে বলে শুনেছি। তবে আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম না।’
মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শৈবাল বসাক জানান, শরীরে ধারালো অস্ত্রের জখম নিয়ে ৫জন হাসপাতালে আসলে তাদের চিকিৎসা দেয়া হয়। প্রত্যেকের শরীরে সেলাই লেগেছে। তাছাড়া প্রত্যেকের শরীরে বেধড়ক মারধরের চিহ্ন রয়েছে।
মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম জানান, ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় পুুুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়। থানায় অভিযোগ সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।