২৮শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সোমবার | সন্ধ্যা ৭:১৩
মুন্সিগঞ্জের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন ও দর্শনীয় স্থান নিয়ে বের হলো ভ্রমণ বই ‘প্রত্নকথা’
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ, ৭ এপ্রিল ২০২৫, নিজস্ব প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)

মুন্সিগঞ্জের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন ও দর্শনীয় স্থান নিয়ে ‘প্রত্নকথা’ নামে বইয়ের মোড়ক উন্মোচন হয়েছে। এতে জেলার প্রত্নতাত্ত্বিক ও দর্শনীয় ৬২টি স্থানের সচিত্র বর্ণনা, অবস্থান, ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ও গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে।

এছাড়া মুন্সিগঞ্জ ভ্রমণে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করার জন্য একদিনে ভ্রমণ করা যায় এমন তিনটি ট্যুর প্ল্যান বা ভ্রমণ পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়েছে। পর্যটক ও ভ্রমণপিপাসুদের সুবিধার্থে এতে জেলা এবং উপজেলার আলাদা আলাদা মানচিত্র, আবাসন ও যোগাযোগ ব্যবস্থার বিবরণ দেওয়া হয়েছে। দেশি ও বিদেশি পর্যটকদের কথা বিবেচনায় রেখে বইটির সকল তথ্য ও বর্ণনা বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায় লিখিত হয়েছে।

বইটির পিডিএফ লিংক: প্রত্নকথা

আজ সোমবার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন কর্তৃক ‘প্রত্নকথা’ এর মোড়ক উন্মোচন হয়।

জেলার উন্নয়ন সংক্রান্ত এক গুরুত্বপূর্ণ সভা শেষে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, শিল্প মন্ত্রণালয় এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসানসহ আমন্ত্রিত দেশের ঊর্ধ্বতন পর্যায়ের বিভিন্ন কর্মকর্তাবৃন্দ ও স্থানীয় কর্মকর্তাগণের উপস্থিতিতে বইটির মোড়ক উন্মোচন হয়।

ভ্রমণবইটি প্রকাশনার বিষয়ে জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাত বলেন, আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে প্রত্ন নগরী খ্যাত মুন্সিগঞ্জের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে তুলে ধরা, জেলার পর্যটনকে সমৃদ্ধ করা ও আগামীর প্রজন্মের কাছে এগুলোকে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে এ ধরনের একটি ভ্রমণ বই প্রকাশ করতে পেরেছি এবং আজকে এত সুন্দর একটি আয়োজনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এটির মোড়ক উন্মোচন করতে পেরেছি। বইটি সংরক্ষণের লক্ষ্যে ও শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের জানার সুবিধার্থে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন দপ্তর-সংস্থা, লাইব্রেরি, স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয়, রিসোর্টসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে প্রেরণের পরিকল্পনা রয়েছে।

বইটি সম্পাদনা করেন জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জনাব শরীফ উল্যাহ। তিনি জানান, মুন্সিগঞ্জ জেলায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে অসংখ্য প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। তার সাথে যোগ হয়েছে আরও অনেক নতুন নতুন দর্শনীয় ও আকর্ষণীয় স্থান।

মুন্সিগঞ্জ ভ্রমণে এলে এই স্থানগুলো না দেখলে যে কোনো পর্যটকের একটা বড় অতৃপ্তি থেকেই যাবে। পর্যটক বা ভ্রমণপিপাসুদের চোখের শান্তি এবং মনের তৃপ্তির জন্য মুন্সিগঞ্জ হতে পারে একটি উত্তম পছন্দ। মুন্সিগঞ্জের জেলা প্রশাসক জনাব ফাতেমা তুল জান্নাতের পরিকল্পনা ও দিক-নির্দেশনায় ভ্রমণপিপাসুদের জন্য এই বইটি প্রকাশিত হয়েছে। এটি মূলত দেশি-বিদেশি পর্যটকদের জন্য জেলার একটি ভ্রমণগাইড হিসেবে কাজ করবে।

error: দুঃখিত!