মুন্সিগঞ্জ, ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, বিশেষ প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জের টংগিবাড়ী উপজেলার মোট ৯২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৫৭টিতে শহীদ মিনার নেই।
ওই সমস্ত বিদ্যালয়গুলোতে বাঁশ, কলাগাছ, কংক্রিট দিয়ে নিজেদের মত করে শহীদ মিনার তৈরী করে শিক্ষার্থীরা ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে আসছে।
আন্তজার্তিক মাতৃভাষা দিবসে তাই অনেক বিদ্যালয়ে বাঁশ, কাঠ ও কলাগাছ দিয়ে শহীদ মিনার তৈরীর প্রস্তুতি নিচ্ছে শিক্ষার্থীসহ শিক্ষকরা বিগত প্রায় ২ বছর আগে মুন্সিগঞ্জ জেলার বিদ্যালয়গুলোতে শহীদ মিনার তৈরীর উদ্যেগ নেন তৎকালিন মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসক সায়লা ফারজানা।
সে সময় তিনি বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি ও এলাকার বিত্তবানদের নিজ এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শহীদ মিনার তৈরী করার জন্য আহবান জানান। তার সে আহবানে ২০১৯ সালে মুন্সিগঞ্জ উপজেলার কাঠাদিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ওই এলাকার যুব সমাজ শহীদ মিনার নির্মাণ করেন। তবে এখনো উপজেলার ৫৭টি বিদ্যালয়ে কোন শহীদ মিনার নাই।
এছাড়া টংগিবাড়ী উপজেলার চাঠাতিপাড়া শেখ কাবেল আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়েও শহীদ মিনার নেই। প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও কাঠ ও কাগজ দিয়ে নির্মিত শহীদ মিনারে ফুল দিবেন ও বিদ্যালয়ের শিÿর্থীসহ ওই এলকার লোকজন।
এ ব্যাপারে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিÿক কবির হোসেন জানান, আমরা ইতিমধ্যে প্রতিবছরের ন্যায় কাঠ ও কাগজ দিয়ে শহীদ মিনার নির্মাণ করেছি। এই শহীদ মিনারেই ফুল দিয়ে শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে।
উপজেলার পদ্মা ভাঙ্গন কবিলত বিধুয়াইল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোন শহীদ মিনার না থাকলেও বানারী সরাকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নির্মিত হচ্ছে শহীদ মিনার। ইতিমধ্যে ওই শহীদ মিনারের অর্ধেক কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
ওই নির্মিতব্য শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন শিক্ষার্থীসহ ওই এলাকার লোকজন। এ ব্যাপারে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক হযরত আলী জানান, ই্উনিয়ন পরিষদের অর্থায়নে বানারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মিত হচ্ছে। অসম্পূর্ণ শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে এ বছর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে।
এ ব্যাপারে টংগিবাড়ী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আঞ্জুমান আরা জানান, উপজেলার ৯২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৩৫টিতে শহীদ মিনার রয়েছে। বাকিগুলোতে নেই।
শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য সরকারী কোন বরাদ্ধ না থাকায় আমরা স্কুল মেরামতের জন্য প্রতি বছর কিছু টাকা আসে ওই টাকা থেকে শহীদ মিনার তৈরীর জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষকে বলেছি। অন্যদিকে স্কুল ম্যানেজিং কমিটিসহ সমাজের বিত্তবানদেরও নিজ এলাকায় শহীদ মিনার তৈরীর জন্য আহবান করছি।
