মুন্সিগঞ্জ, ১৯ মে, ২০২০, সদর প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জ শহরের শেষ সীমান্তে চরাঞ্চলঘেষা পূর্ব শিলমন্দি এলাকায় গতকাল স্থানীয় দুই আওয়ামী লীগ নেতার দ্বন্দে বিদেশী পিস্তল, শটগান নিয়ে ফিল্মি ষ্টাইলে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায় এই ঘটনায় ব্যবহৃত অস্ত্রগুলো একেবারেই নতুন। তবে যারা অস্ত্রগুলো ব্যবহার করছে তারা অস্ত্র ব্যবহারে নতুন নয়। তাহলে তাদের অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ দিলো কারা? নাকি নিজেদের আধিপত্য বিস্তারে তারা সবসময়ই এসব অস্ত্র ব্যবহারে অভ্যস্ত? তাহলে কি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে অবৈধ অস্ত্রের এই বিপুল পরিমাণ মজুদ সম্পর্কে কোন ধারনাই নেই?
এসব অস্ত্রের যোগানদাতা কারা? কিভাবে এলো অত্যাধুনিক বিদেশী এই অস্ত্র? যারা অস্ত্রগুলি ব্যবহার করেছে এগুলো কি তাদেরই না কি অন্য কেউ তাদের এই অস্ত্র সরবরাহ করেছে? দ্বন্দ কি শুধু এই দুই আওয়ামী লীগ নেতারই? নাকি পিছনে অন্য কোন কেউ কলকাঠি নাড়ছে? এমন সব প্রশ্ন ঘুড়পাক খাচ্ছে মুন্সিগঞ্জের গ্রামে-মহল্লায়।
সেই ঘটনার পরে আবারও আলোচনায় এসেছে আসলে মুন্সিগঞ্জের চরাঞ্চলগুলোতে আসলে কি পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র আছে।
এদিকে এ ঘটনায় আজ (মঙ্গলবার) অভিযান চালিয়ে ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। তাদেরকে রিমান্ডে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মুৃুন্সিগঞ্জ সদর থানার ওসি আনিচুর রহমান ‘আমার বিক্রমপুর’ কে বলেছেন, ‘এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের সবাইকে আটকের চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে পুলিশ সর্বোচ্চ কঠোর অবস্থানে রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘অবৈধ অস্ত্রের বিষয়ে আটকদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এ ঘটনায় যেই জড়িত থাকুক তাকে কোন ছাড় দেয়া হবে না।’
