মুন্সিগঞ্জ, ১৯ আগস্ট ২০২৪, নিজস্ব প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
মালয়েশিয়া পালানোর জন্য ভিসা ইস্যু করতে পাসপোর্ট নিয়ে ঢাকার নয়াপল্টনের একটি ট্রাভেল এজেন্সিতে যান মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান নাজমুল হাসান সোহেল।
কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের উপর আক্রমণের ভিডিওতে সোহেলকে দেখে চিনে ফেলে ছাত্র-জনতা। এরপর সন্ধ্যার দিকে তাকে নিয়ে আসা হয় নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে। এই প্রতিবেদন লেখার সময় রাত দশটায় তিনি সেখানেই ছাত্র-জনতার হেফাজতে আছেন। কিছুক্ষণের মধ্যে সেনাবাহিনীর কাছে তাকে হস্তান্তর করা হবে।
নাজমুল হাসান সোহেল মুন্সিগঞ্জ ৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ফয়সাল বিপ্লবের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। গেল ৪ আগস্ট শহরের সুপারমার্কেটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে হামলার নেতৃত্ব দিতে দেখা যায় তাকে।
ওইদিন সকালে জেলা সদরের চরাঞ্চল থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, তার পুত্র সাবেক সংসদ সদস্য ফয়সাল বিপ্লব ও তার স্ত্রী মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র চৌধুরী ফাহরিয়া আফরিনের নির্দেশে শিক্ষার্থীদের উপর হামলার জন্য অস্ত্র-ককটেল নিয়ে শহরে প্রবেশ করেন ২-৩ হাজার দলীয় নেতাকর্মী ও অনুসারী। আগেরদিনই তারা মোবাইল ফোন ও সাক্ষাৎয়ে এই নির্দেশ পান।
ওইদিনের ঘটনায় ৩ জন নিহত ব্যক্তির নাম-পরিচয় পাওয়া যায়। এছাড়া অন্তত ২৫ জন গুলিবিদ্ধসহ আহত হন দেড় শতাধিক।
আন্দোলনে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহতরা হলেন- রিয়াজুল ফরাজী (৩৫), মো. সজল (৩০) ও ডিপজল (১৯)। নিহতদের মধ্যে রিয়াজুল মৃত কাজী মতিনের ছেলে, সজল আলী আকবরের ছেলে ও ডিপজল সিরাজ সরদারের ছেলে। এরা সকলেই শহরের উত্তর ইসলামপুর এলাকার বাসিন্দা।