মুন্সিগঞ্জ, ২৬ এপ্রিল, ২০২১, ডেস্ক রিপোর্ট (আমার বিক্রমপুর)
চলমান লকডাউনের মধ্যেই ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে গতকাল রোববার থেকে সারাদেশের মার্কেট ও দোকানপাট খোলার অনুমতি দিয়েছে সরকার। গতকাল থেকেই খুলেছে মুন্সিগঞ্জের মার্কেট ও দোকানপাটগুলো। তবে ঈদের কেনাকাটা এখনো জমে উঠেনি।
আজ সোমবার (২৬ এপ্রিল) মুন্সিগঞ্জ শহরের বেশ কয়েকটি মার্কেট ও দোকানগুলোতে ঘুড়ে দেখা যায়, রাস্তায় মানুষের বাড়তি চাপ থাকলেও দোকান ও মার্কেটগুলোতে বিক্রি তেমন নেই। ঈদের কেনাকাটার বাড়তি চাপ এখনো দেখা যাচ্ছে না দোকান ও মার্কটে।
এদিকে আজ প্রচন্ড গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে নাগরিক জীবন। বাহিরে কাঠফাটা রোদ। রোদ থেকে বাঁচতে জীবিকার তাগিদে ছাতা নিয়েও বের হয়েছেন কেউ কেউ।
আজ দুপুরের দিকে মুন্সিগঞ্জ শহরের আফতাবউদ্দিন কমপ্লেক্স ঘুরে দেখা গেলো পুরো মার্কেট ছিলো ক্রেতা শূণ্য।
জানতে চাইলে আয়েশা ফ্যাশন এর প্রোপাইটর শাকিল তালুকদার ‘আমার বিক্রমপুর’ কে জানান, এমনিতে রমজান মাস। এর মধ্যে অতিরিক্ত গরমে মানুষ বাসা থেকে বের হচ্ছেন না। আশা করছি- গরম কমে গেলে মানুষের আনাগোনা বাড়বে। সেইসাথে বাড়বে কেনাকাটা। আশাকরি কিছুদিনের মধ্যে আবহাওয়া স্বাভাবিক হবে আর মার্কেটগুলোতে বিক্রি বাড়বে।
মালয়েশিয়া প্রবাসীর স্ত্রী তানিসা রহমান জানান, সামনে ঈদ। তখন মার্কেটে পা রাখার জায়গা পাবো না। তাই আজকে শপিং শেষ করে রাখলাম।
এদিকে মুন্সিগঞ্জের দোকানপাট ও শপিংমলগুলোতে চলাচল করা সকল ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ জানিয়েছেন মুন্সিগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা: আবুল কালাম আজাদ।
তিনি বলেছেন, করোনার উচ্চঝুকিতে রয়েছে মুন্সিগঞ্জ। মুন্সিগঞ্জ শহরের মার্কেটগুলো অনেক ছোট জায়গার মধ্যে। তাই এখানে সংক্রমণ ছড়ানোর ঝুকি অনেক বেশি। সুতরাং আমাদের সকলকেই এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, আজ মুন্সিগঞ্জের তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না কেউ। ভোগান্তিতে পড়ছেন শিশু সহ বয়স্করা। ঘর ছেড়ে গাছ তলায় বিছানা করছেন কেউ কেউ। কেউবা ভ্যাপসা গরমে স্বস্তি খুজে পেতে পুকুরে কিংবা ধলেশ্বরীতে নেমে নিজেকে ঠিক রাখার চেষ্টা করছেন।
গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল যশোরে ৪১ । ঢাকার তাপমাত্রা ছিলো ৩৯ ও মুন্সিগঞ্জে তাপমাত্রা ছিলো ৩৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস।