মুন্সিগঞ্জ, ২৭ এপ্রিল, ২০২১, শিহাব আহমেদ (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার পঞ্চসার ইউনিয়নের ভট্টাচার্যে্যর-বাগ এলাকার সাইদুর রহমান রিয়েল (২৮)। পড়াশোনার পাশাপাশি মুন্সিগঞ্জ শহরের কাচারীতে রয়েছে একটি মোবাইল ফোনের দোকান।
মূলত অনেকটা শখের বসেই ইউটিউবে ভিডিও দেখে ২০১৭ সালে এক জোড়া ইউরোপিয়ান সিল্ক জাতের মুরগীর বাচ্চা দিয়ে শুরু করেছিলেন। এরপর শখ থেকে ধীরে ধীরে ব্যবসায় পরিণত হয়েছে তার এই উদ্যোগ। বর্তমানে তার খামারে ৫ জাতের প্রায় অর্ধশতাধিক বিদেশী মুরগী ও মুরগীর বাচ্চা রয়েছে। সবমিলিয়ে যার বাজারমূল্য লক্ষাধিক টাকা।
জাতভেদে একেক জোড়া মুরগীর দাম ৮ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। আর মুরগীর বাচ্চা বিক্রি হয় জাতভেদে ২ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত।
রিয়েল জানান, একেকটি বিদেশী জাতের মুরগী বছরে ১৫০-২০০ ডিম দিয়ে থাকে। জাতভেদে এক পিস ডিমের দাম ২০০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত। মূলত এই ডিমগুলো নিয়ে অন্য খামারিরা মুরগী উৎপাদন করেন। অনেকে শখের বসে বাড়িতে এই মুরগী পালন করে থাকেন।
শখের বসে শুরু করা রিয়েলের এই উদ্যোগ অল্প খরচ আর বেশি লাভের আশায় একসময় দেখে নতুন সম্ভাবনা। বর্তমানে তার খামারে রয়েছে ইউরোপিয়ান সিল্ক, কলম্বিয়ান লাইট ব্রাহমা, আমেরিকান কোচিন (মোল্টেড) ও আমেরিকান কোচিন সিলভার ও দেশীয় পাহাড়ী জাতের হিলি চিকেন।
বাড়ির ছাদের এক পাশে এই মুরগীর খামার করতে রিয়েলের খরচ হয়েছিলো ৬০ হাজার টাকা। আর প্রতিমাসে মুরগী ও বাচ্চাগুলোর খাবার খরচ হয় ২ হাজার টাকার মত। আর ঔষুধ খরচ, বিদ্যুৎ বিল ও আনুসঙ্গিক মিলিয়ে মাসে মোট খরচ হয় প্রায় ৮ হাজার টাকা। প্রতি মাসে তার আয় হয় ২৫-৩০ হাজার টাকা।