মুন্সিগঞ্জ, ১০ অক্টোবর, ২০২২, নিজস্ব প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
পারিবারিক বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ছেলের সাথে রাগ করে নদীতে লাফিয়ে পড়েন মা জামিরুন বেগম (৪০)। পরবর্তীতে মাকে বাঁচাতে ছেলে নাঈম হোসেন (২১) ও লাফ দেন নদীতে।
মা জামিরুন বেগম জীবিত অবস্থায় তীরে আসতে পারলেও ছেলে নাঈম সাঁতার না জানায় নদীর পানিতে মুহুর্তেই তলিয়ে যান। বিকাল ৪টা পর্যন্ত তার খোঁজ পাওয়া যায়নি। নিখোঁজ যুবক শরিয়তপুর জেলার সুখীপুর থানার আক্তার হোসেন এর ছেলে।
আজ সোমবার দুপুর ১২ টা’র দিকে মুন্সিগঞ্জ সদরের সীমান্তবর্তী চর কিশোরগঞ্জ এলাকায় এম বাইজিদ জুনাইদ-১ লঞ্চ থেকে নদীতে ঝাপ দেয়ার এই ঘটনা ঘটে। লঞ্চটি শরিয়তপুর থেকে ঢাকার সদরঘাট যাচ্ছিলো।
নাঈমের মায়ের বরাত দিয়ে গজারিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক ইজাজ উদ্দিন আহমেদ জানান, লঞ্চে ওঠার পর নাঈম তাঁর মা জামিরুনের কাছে টাকা চেয়েছিলেন। তবে জামিরুন টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান। এ নিয়ে মায়ের সঙ্গে নাঈম বাগ্বিতণ্ডা করেন। একপর্যায়ে টাকা না দিলে নাঈম তাঁর মায়ের গলার সোনার চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার হুমকি দেন। এ সময় নাঈম তাঁর মায়ের গলায় হাত দিলে তাঁর মা ক্ষোভে নদীতে ঝাঁপ দেন। পরে মাকে বাঁচানোর জন্য সঙ্গে সঙ্গে নাঈম নদীতে ঝাঁপ দেন। পরে স্থানীয় ট্রলারচালকেরা জামিরুনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করেন। তবে সাঁতার না জানায় নাঈম পানিতে ডুবে যান।
কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লে. কমান্ডার খন্দকার মনিফ তকি জানান, কোস্ট গার্ড স্টেশন পাগলা নিখোঁজ যুবককে উদ্ধারে ২ টি উদ্ধারকারীদল এবং ১ টি ডুবুরীদল দ্রুত ঘটনাস্থলে পাঠায়। কিন্তু বিকাল ৪টা পর্যন্ত তার খোঁজ পাওয়া যায়নি।