১৩ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
শুক্রবার | রাত ৮:৪৪
Search
Close this search box.
Search
Close this search box.
মুন্সিগঞ্জে পুলিশ ও সরকারদলীয় কর্মীদের বিরুদ্ধে বিএনপির মামলা খারিজ
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ, ১০ অক্টোবর, ২০২২, নিজস্ব প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)

মুন্সিগঞ্জে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষের সময় যুবদল কর্মী শহিদুল ইসলাম শাওন নিহতের ঘটনায় বিএনপির করা মামলার আবেদন খারিজ করে দিয়েছে মুন্সিগঞ্জ আমলি আদালত-১।

আজ সোমবার জেলার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মোসা: রহিমা আক্তারের আদালত আবেদনটি খারিজের আদেশ দেন।

মামলার বাদী সালাউদ্দিন খান বলেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির অনুমতি সাপেক্ষে মুন্সিগঞ্জ আদালতে শাওন হত্যার মামলার আবেদন করা হয়েছিল। যেহেতু আদালত মামলার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন, এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় বিএনপি সিদ্ধান্ত নেবেন। মামলার পরবর্তী করণীয় বিষয় নিয়ে সভা হবে। মামলাটির জন্য হাইকোর্টেও আবেদন করা হতে পারে।

বিএনপি’র কৃষক দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য সালাহ্ উদ্দিন খান বাদী হয়ে মুন্সিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মিনহাজ উল ইসলাম কে প্রধান অভিযুক্ত করে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দেব ও সদর থানার ওসি তারিকুজ্জামানসহ ৯ পুলিশ সদস্যের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৪০/৫০ জন পুলিশ সদস্য ও ২০০/৩০০ জন সিভিল ড্রেস পরিহিত অস্ত্রধারী সরকারদলীয় সন্ত্রাসী উল্লেখ করে বাংলাদেশ দন্ডবিধির ৩২৩, ৩২৫, ৩২৬, ৩০৭, ৩০২ ও ৩৪ ধারায় এই মামলাটি দায়েরের জন্য আবেদন করেছিলেন। মামলা নম্বর ৭১৭/২০২২।

শুনানি শেষে সোমবার আদেশের জন্য দিন ধার্য করা হয় মামলাটির। এ দিন বিকালে ২০৩ ধারায় মামলাটি খারিজ করেন জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মোসা: রহিমা আক্তার।

মামলার বাদী পাবনা জেলার সাথিয়া উপজেলার পারগোপালপুর এলাকার শহীদ আব্দুর রাজ্জাক খানের ছেলে সালাহ্ উদ্দিন খান (৬৪) একসময় পুলিশের সদস্য ছিলেন। ২০১০ সালে তাকে বাধ্যতামূূলক অবসরে পাঠানো হয়। পরে তিনি বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত হন।

প্রসঙ্গত, গত ২১ সেপ্টেম্বর বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে মুন্সিগঞ্জের মুক্তারপুর এলাকায় পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষের সময় গুরুতর আহত হন মিরকাদিমের মুরমা এলাকার যুবদল কর্মী শাওন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি। ওই ঘটনায় পুলিশ, সাংবাদিকসহ আহত হয় অন্তত ৫০ জন। পরে পুলিশ ও শ্রমিকলীগ নেতা বাদী এ ঘটনায় মুন্সিগঞ্জ সদর থানায় দুইটি মামলা দায়ের করে। একটি মামলায় নিহত শাওনকেও আসামি করা হয়েছে। শাওনের মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবারের পক্ষ থেকে কোন মামলা না করা হলেও বিএনপির পক্ষ থেকে এই মামলাটি করা করা হয়েছিলো।

error: দুঃখিত!