শিহাব অাহমেদ: নিজেকে প্রার্থী ঘোষনা দিয়ে মুন্সিগঞ্জের দুই পৌরবাসীর উদ্দেশ্যে সকল প্রকার প্রচার-প্রচারনা তুলে নিয়েছেন মুন্সিগঞ্জ সদর ও মিরকাদিম পৌরসভার সম্ভাব্য মেয়র ও কাউন্সিলর পদপ্রার্থীরা।
নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী গতকাল ২৬নভেম্বর বৃহস্পতিবার রাত১২ টা পর্যন্ত ছিলো এসকল প্রচারনা অপসারনের শেষ দিন।
সরেজমিনে গিয়ে অাজ ২৭নভেম্বর শুক্রবার দেখা যায় মুন্সিগঞ্জ শহরের কাচারী, সুপারমার্কেট ও বিভিন্ন জনবহুল স্থানে লাগানো মেয়র পদে দোয়া চেয়ে জেলা অাওয়ামীলীগের সভাপতি মহিউদ্দিন পুত্র ফয়সাল বিপ্লবের ছবি সহ লাগানো পোষ্টারগুলো তুলে ফেলা হয়েছে। এছাড়াও শহরের কেন্দ্রস্থল সুপারমার্কেট ও কাচারীর মোড়ে কয়েকদিন পূর্বে পৌরবাসীর উদ্দেশ্যে নিজেকে প্রার্থী ঘোষনা দিয়ে এবং দোয়া চেয়ে টাঙানো তোরণ থেকেও ব্যানার সরিয়ে ফেলা হয়েছে। তার তোরণের পরেই ছিলো অাওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী অারেক সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী অামরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সংগঠনের সভাপতি রেজাউল ইসলাম সংগ্রাম এর তোরণ। সেখান থেকেও ব্যানার সরিয়ে নিয়েছেন তিনি। তার ছবিসহ লাগানো পোষ্টার ও বিনষ্ট করা হয়েছে।
মিরকাদিম পৌরসভায় অাওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী জেলা অাওয়ামীলীগের নেতা মনসুর অাহমেদ কালাম, বর্তমান মেয়র শহিদুল ইসলাম শাহিন তারাও সরিয়ে নিয়েছেন নিজেদের প্রচারণামূলক সকল ব্যানার-পোষ্টার। তাদের পাশাপাশি মিরকাদিম পৌরসভার ওয়ার্ডগুলো থেকে কাউন্সিলর পদপ্রার্থী ব্যাক্তিরাও স্ব-উদ্যোগে সরিয়ে নিয়েছেন তাদের ব্যানার-ফেষ্টুন ও পোষ্টার।
এছাড়া মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদপ্রার্থী রায়হানুজ্জামান রাসেল, ফরহাদ হোসেন অাবির, মিরাজুল ইসলাম মিরাজ, ২নং ওয়ার্ডে ফিরোজ হোসেন প্রমুখ ব্যাক্তিরাও তাদের প্রার্থীতার ঘোষনা সম্বলিত সকল প্রকার ব্যানার-পোষ্টার সরিয়ে নিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী রেজাউল ইসলাম সংগ্রাম বলেন, ‘নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অামরা নির্বাচন কমিশনের কাছে দায়বদ্ধ। তাই নির্বাচন কমিশনের সকল প্রকার বিধি-নিষেধ অামি সজ্ঞানে সবসময় মেনে নিতে প্রস্তুত অাছি’
মিরকাদিম পৌরসভার সম্ভাব্য মেয়রপ্রার্থী মনসুর অাহমেদ কালাম বলেন, ‘একজন নাগরিক হিসেবে হোক অার মেয়র প্রার্থী হিসেবে হোক অাইনের প্রতি সবসময় অামি পূর্ণ শ্রদ্ধাশীল। তাই নির্বাচন কমিশনের সকল প্রকার নির্দেশনা বাস্তবায়নে অামি তৈরি অাছি।’