২১শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
বুধবার | রাত ৩:৩২
ফুল চাষে স্বাবলম্বী মুন্সিগঞ্জের বিদেশ ফেরত হিরু
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, টংগিবাড়ী প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)

জাপান হতে ফিরে ১৯৯৩ সালে শুরু করেছিলেন ফুল চাষ। ধীরে ধীরে সম্প্রসারণ করেছেন। কর্মসংস্থান করেছেন ৫-৬ জনের।

সড়ক দূর্ঘটনায় আহত হয়ে কয়েকবছর আগে অনেকটাই কর্ম অক্ষম হয়ে পরলেও একজন সফল উদ্যেক্তা হিসাবে লাভবান মুন্সিগঞ্জের টংগিবাড়ী উপজেলার পুড়াপাড়া গ্রামের ফুলচাষি মোজাম্মেল হক হিরু।

এ বছর প্রায় ১ একর জমিতে ফুল চাষ করেছেন তিনি। তার রোপনকৃত ফুলের মধ্যে জারবেড়া, স্নোবল, স্টার, ডালিয়া, জুইবেরী, পমপম উলেøখযোগ্য।

বানিজ্যিকভাবে ফুল উৎপাদন ও বাজারজাত করে অনেকটাই সফল তিনি। বৃদ্ধ বয়সে সড়ক দূর্ঘটনায় নিজে কর্ম অক্ষম হলেও একজন সফল উদ্যেক্তা হিসাবে কর্মসংস্থান গড়েছেন ৫-৬ জন লোকের। তবে বাগান হতে ফুল তোলার পর ঢাকার শাহাবাগে নিয়ে বিক্রি করে থাকেন তিনি নিজেই।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় উপজেলার পুড়াপাড়া গ্রামের ১০ টুকরো খন্ড খন্ড পরিত্যাক্ত প্রায় ১ একর জমি কমমূল্যে লিজ নিয়ে এবছর ফুল চাষ করেছেন চাষি মোজাম্মেল হক হিরু।

এগুলোর মধ্যে জারবেড়া জাতের ফুল বেশি। এ ফুলটি সারাবাছর উৎপাদন হওয়ায় লাভের হার বেশি বলে জানান ফুল চাষি হিরু। এছাড়া মৌসুমি বেশ কিছু ফুলেরও আবাদ করেছেন তিনি। তার ফুলের জমিগুলোতে মৌসুমী ফুল রজনিগন্ধা, ডালিয়া, স্নোবল এবং ষ্টার এর উৎপাদন শুরু হয়েছে। লাভবান হওয়ার জন্য সে পরিত্যাক্ত কৃষি জমি স্বল্পমূল্যে লিজ এবং কমমূল্যে নারী শ্রমিক দিয়ে ফুল বাগান পরিচর্যা করছেন।

ফুলচাষি মোজাম্মেল হক হিরু জানান, এ বছর তিনি প্রায় ৩ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেছেন। ফুল যেভাবে আসতে শুরু করেছে আবহাওয়া ভালো থাকলে ভালো লাভবান হওয়ার আশা করছেন সে।

সে আরো জানায়, ১৯৯৩ সালে জাপান হতে দেশে ফিরে শুরু করেছেন ফুলের ব্যাবসা। প্রথমে ঢাকার সাভার উপজেলায় গোলাপ ফুল দিয়ে চাষাবাদ শুরু করে সে। তারপর গোলাপের সারবারহ বাজারে প্রচুর থাকায় চাহিদা অনুযায়ি জারবেড়া, ষ্টার, স্নোবল জাতের ফুল চাষ শুরু করেছেন তিনি। এর মধ্যে কিছু ফুলের চারা তিনি নিজেই উৎপাদন করেন। আর কিছু কিনে এনে জমিতে চাষাবাদ করছেন। শুধু আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্যই নয় ফুল সুন্দরের প্রতিক হিসাবে ফুলের প্রতি ভালোবাসা দেখিয়ে ফুল চাষে আগ্রাহী হয়ে উঠেন বলেও জানান তিনি।

error: দুঃখিত!