২২শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
শনিবার | রাত ১১:৩৯
পদ্মায় ব্যাপক অভিযান; গুলিবর্ষণ: কারেন্ট জাল, ২০০ নৌকা ও ডিবি পুলিশ আটক
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ ১৯ অক্টোবর, ২০১৯, লৌহজং প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)

মা ইলিশ রক্ষায় সরকার নির্দেশিত নিষিদ্ধ সময়ে ইলিশ ধরায় মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ে পদ্মা নদীতে নৌ পুলিশের ডিআইজি আতিকুর ইসলামের নেতৃত্বে মা ইলিশ নিধনকারী জেলেদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযান চালানো হয়েছে।

এ সময় জেলেদের মাছ ধরা ট্রলারের ওপর ৩৩ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করা হয়।

ক্রেতা ও জেলেদের নিকট থেকে চাঁদাবাজী ও ইলিশ ছিনতাইয়ের অভিযোগে ডিবি পুলিশের একজন উপ পরিদর্শককে গ্রেপ্তার করা হয়।

আটক করা হয় আরো ১৯ জনকে।

এসময় জব্দ করা হয় প্রায় লাখ মিটার কারেন্ট জাল। এগুলো আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়। আরো মিলেছে ২২২ টি ইলিশ ধরার নৌকা।

লৌহজং উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. ইদ্রিস তালুদকার জানান, বৃহস্পতিবার রাতে নৌ পুলিশের ডিআইজি মো. আতিকুর ইসলাম, অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মাহবুবুর রহমান, মো. হারুনুর রশীদ, নৌ পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের পুলিশ সুপার মো. ফরিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শফিকুল ইসলামের উপস্থিতিতে লৌহজংয়ের পদ্মার বিভিন্ন পয়েন্টে মা ইলিশ নিধনবিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এ সময় পুলিশ মা ইলিশ শিকারী জেলেদের ধরতে ৩৩ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে।

ক্রেতাদের কাছ থেকে ইলিশ ছিনতাই ও জেলেদের কাছ থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগে গাজীপুর মেট্রোপলিটন ডিবি পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর মো. আল আমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তার কাছ থেকে মুন্সিগঞ্জ ডিবি পুলিশের একটি ভুয়া আইডি কার্ডও উদ্ধার করা হয়।আটক করা হয় আরো ১৮ জন জেলে ও একজন ইলিশ ক্রেতাকে।

তাদের বিরুদ্ধে লৌহজং থানায় নিয়মিত মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এছাড়া জব্দ করা হয়েছে প্রায় ৮ লাখ মিটার কারেন্ট জাল। নদীতে ২ শতাধিক ইলিশ ধরা নৌকা আটক করে তা আগুনে পুড়িয়ে পদ্মায় ডুবিয়ে দেয়া হয়েছে।

error: দুঃখিত!