১৮ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
মঙ্গলবার | বিকাল ৩:৫৫
পদ্মায় চলেনা ফেরি, প্রকৃতির সাথে লড়াই করে নৌ পথ সচল করতে প্রত্যয়ী ড্রেজিং বিভাগ
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ ১৭ অক্টোবর, ২০১৯, জসীম উদ্দীন দেওয়ান (আমার বিক্রমপুর)

বুধবার অনেকটা নিশ্চিত করে ড্রেজিং বিভাগ জানিয়েছিলেন, বৃহস্পতিবার বিকালের মধ্যে নদীর পলি অপসারণ করে বন্ধ থাকা শিমুলিয়া- কাঁঠালবাড়ি নৌ পথটি সচল করে দিবে। এই লক্ষ্যে বিআইডব্লিউটিএর নিজস্ব আটটি ড্রেজারের বাইরে আরো চারটি ড্রেজার ভাড়ায় এনে ১২টি ড্রেজারে চালিয়েছিলো অভিযান। বিরামহীন এই অভিযানে বাঁধ সাধে তীব্র স্রোত এবং সাথে প্রচুর ময়লা আবর্জনা বা নদীর তলদেশে জমে থাকা খরকুটার ন্যায় গাছগাছালি। ফলে কাটার ব্লেটে এসব জট বেঁধে মাঝে মাঝে ব্যাহত করে খনন কাজ।

বুধবার দিনের মতো গভীর রাতেও এমন সমস্যায় পড়তে হয় শ্রমিকদের। বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত নদী খনন কাজে ব্যবহৃত কয়েকটি ড্রেজারে ছিলাম কয়েক ঘন্টা। দেখেছি ময়লা আবর্জনার কারণে মাঝে মাঝে কাজের অচল অবস্থাও। মোট ১২ টি ড্রেজারে দৈনিক এক লাখ ঘন ফুট পলি কাঁটার কথা থাকলেও, অস্বাভাবিক পদ্মায় তা সম্ভব হয়ে ওঠেনা। দিনে মাত্র ৪০ হাজার ঘন ফুট পলি অপসারণের করতে পারছে কর্তৃপক্ষ। এমন পরিস্থিতিতে নৌ পথ সচল করার মতো কাজ শেষ করে বিকাল পাঁচটার মধ্যে বিআইডব্লিউটিসিকে ফেরি চলাচলের জন্য বুঝিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান, ড্রেজিং বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সাইদুর রহমান। তিনি কথার ফাঁকে এমন একটা সমীকরণ তোলে ধরে বলেন, পদ্মায় যে পরিমান পলি এসে জমাট বাধে, তার দুইশ ভাগের এক ভাগ পলিও তাদের পক্ষে কাটা সম্ভব হয়না।

অন্য একটি উদাহরণ টেনে সাইদুর রহমান বলেন, লৌহজং টার্নিং পয়েন্টের মুখে পলি অপসারনের পর বুধবার রাত পর্যন্ত সেখানে ১৩ ফুট পানির গভীরতা মেপে এসে, বৃহস্পতিবার সকালে যেয়ে আট ফুট গভীর পানি পেয়েছে। অর্থাৎ এখানে এতো দ্রুত মাত্রায় পলি জমেছে যে, কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে পাঁচ ফুট নাব্যতা হারিয়ে ফেলেছে। এমন অবস্থায় মনে সন্দেহের দানা বাঁধে, বিকাল পাঁচটার মধ্যে নয় কিলোমিটারের এই নৌ পথ চালু করতে পারা নিয়ে। শেষ পর্যন্ত হলোও তাই। কর্তৃপক্ষ অবশ্য বলছে প্রকৃতির সাথে তাদের লড়াই করতে হচ্ছে।

তবে শুক্রবার দিন কোন ভাবেই যেন নৌ পথটি বন্ধ না থাকে, সে জন্য তারা অবিরাম ২৫০ জন শ্রমিক কর্মকর্তারা কাজ করে যাবে।

প্রশ্ন থেকে যায়, যে হারে নদীতে পলি জমার কথা তারা বলছেন, শুক্রবার কোন মতে নৌ পথ চালু হলেও, সেই চালু থাকার ব্যাপ্তি কতো দিন বা ঘন্টা যাবে সেটাই ভাবভার বিষয় ? এই পথের যাত্রী ও চালক দুর্ভোগ কমানো প্রসঙ্গে স্থায়ী সমাধানের ব্যাপারে জানতে চাইলে সাইদুর রহমান বলেন, ঘাট দীর্ঘ দিন বন্ধ করে ড্রেজিং করা ছাড়া স্থায়ী সমাধানের আর কোন পথ নেই বলে তিনি মনে করছেন।

error: দুঃখিত!