বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় কোমেনের প্রভাবে শুক্রবার ভোররাত থেকে রাজধানীসহ সারাদেশে ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়েছে। তবে সন্দ্বীপ ও হাতিয়া দিয়ে উপকূল অতিক্রম করে ঘূর্ণিঝড়টি দুর্বল হয়ে পড়েছে। বর্তমানে এটি স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়ে নোয়াখালী ও এর আশপাশের এলাকায় অবস্থান করছে।
এদিকে কোমেনের প্রভাবে সৃষ্ট প্রাকৃতিক দুর্যোগে দেশের বিভিন্ন স্থানে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোর থেকে দিবাগত মধ্যরাত পর্যন্ত এসব প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়।
এ ছাড়া ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ে বৃহস্পতিবার ভোলার চরফ্যাশনে ৩টি মাছধরা ট্রলার ডুবে ২৪ জেলে নিখোঁজ ও চর কুকরি মুকরিতে ১৪ জেলে নিখোঁজ হয়েছেন।
আবহাওয়া সূত্র জানিয়েছে, রাজধানীতে বাতাসের তীব্রতার গতিবেগ ছিলো ঘণ্টায় ৫০-৬০ কিলোমিটার।
শুক্রবার ভোররাতের দিকে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে শুরু হয় বাতাস সঙ্গে ঝড়ো বৃষ্টি। যা এখনও চলছে। দিনভর এই আবহাওয়া বিরাজ করবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে নয়টার পর সন্দ্বীপ ও দশটার পর ঘূর্ণিঝড়টি হাতিয়ার উপকূল অতিক্রম করে শুক্রবার সকালে নোয়াখালী ও এর আশপাশের এলাকায় স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। একই সঙ্গে ৭ বিপদ সংকেত নামেয়ে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত জারি করা হয়েছে।
বঙ্গোপসাগর থেকে পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে ধাবিত হওয়ার সময় ঝড়টির সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিলো ঘণ্টায় ৮০ থেকে ১শ’ কিলোমিটার। তবে বর্তমানে আগের তুলনায় অনেকখানি দুর্বল হয়েছে ঝড়টি। কমেছে বাতাসের গতিবেগও।
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে এবং মংলা ও পায়রাবন্দরকে পূর্বের বিপদ সংকেত নামিয়ে বর্তমানে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।