২৩শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
বুধবার | দুপুর ১:৩১
টঙ্গীবাড়ীতে খাল দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণ
খবরটি শেয়ার করুন:

টঙ্গীবাড়ী উপজেলার কামারখাড়া বাজারের রাস্তার পশ্চিম পাশের খালের বিস্তীর্ণ অংশ দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ চলছে। প্রায় ১ মাস ধরে এই নির্মাণ কাজ চললেও প্রশাসন রহস্যজনক নীরব ভূমিকা পালন করছে।

মূলচর অফিসের ভূমি কর্মকর্তা  জসিমউদ্দিনকে বিপুল পরিমাণ টাকা উৎকোচ দিয়েই ওই এলাকার একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট নির্মাণ কাজ চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এলাকাবাসী জানায়, ওই নির্মাণ কাজ টঙ্গীবাড়ী থানা পুলিশ গত এক সপ্তাহ আগে বন্ধ করে দিয়ে আসলেও পুনরায় দ্রুত গতিতে এ নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলছে।

দিঘিরপাড় পদ্মা নদী থেকে কামারখাড়া হয়ে টঙ্গীবাড়ী পর্যন্ত সংযোগ খালের কামারখাড়া বাজারের পশ্চিম পাশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ করছে শ্রমিকরা।

স্থাপনা নির্মাণ শ্রমিকরা জানান, মান্নান দেওয়ান, তাজুল ইসলাম, তোফাজ্জল হাওলাদার, স্বপন ঘোষ, কামাল বেপারী, জয়নাল শিকদার, মজিবুর শিকদার গং এই স্থাপনা নির্মাণ করছেন। রাস্তার পাশের খালের বিস্তীর্ণ অংশ দখল করে এই নির্মাণ কাজ চলায় স্থানীয় জনগণের মধ্যে চরম হতাশা বিরাজ করছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কামারখাড়া স্বর্ণ গ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের ২ শিক্ষক জানান, জন্মের পর থেকে খালটিকে দেখে আসছি। নৌ চলাচলসহ এই অঞ্চলের পানি নিষ্কাশনের জন্য এটি একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ খাল। এটি এভাবে বেদখলের ফলে এই অঞ্চলে জলাবদ্ধতা দেখা দিবে। ফলে আলু চাষ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করেছে স্থানীয়রা।

এ ব্যাপারে স্থানীয় ভূমি কর্মকর্তা তহসিলদার জসিমউদ্দিন জানান, কামারখাড়া মৌজার আর.এস ২৭১নং দাগের ব্যক্তি মালিকানা জমিতে এই বহুতল ভবন নির্মাণ হচ্ছে।

সরকারি খাল কিংবা রাস্তার জমি দখল করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে সে জানায়, রাস্তার পাশের সরকারি জমি রেখে এ নির্মাণ কাজ হচ্ছে। আর ওইখানে সরকারি ম্যাপে কোন খাল নেই জানিয়ে উৎকোচ নেয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন।

তথ্যসূত্রঃ মোজাম্মেল হোসেন সজল, দৈনিক মানবজমিন (১০ অক্টোবর ২০১৫, শনিবার)।

error: দুঃখিত!