মুন্সিগঞ্জ সদরের কয়েকটি কারখানায় তৈরি করা হচ্ছে ভেজাল রিং চিপস। আটা-ময়দার সঙ্গে কাপড়ের রং মিশিয়ে তৈরি করা হয় এসব রিং চিপস।
অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খোলামাঠে রোদে শুকানোর পর খোলা ও প্যাকেটজাত করে বাজারে বিক্রি করা হয়।
শিশুরাই এ ভেজাল চিপসের প্রধান ভোক্তা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার কাশিপুর, ভট্টাচার্যেরবাগ, কেপিবাগ, দশকানি ও আদারিয়াতলা এলাকায় চিপস তৈরির অন্তত ১২টি কারখানা রয়েছে।
কিন্তু কোনো কারখানারই বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) অনুমোদন নেই।
সম্প্রতি সরেজমিনে দশকানি এলাকায় সড়কের পাশে গোলাম মোল্লা চিপস অ্যান্ড কারখানায় দেখা যায়, কারখানার খোলামাঠে নানা রঙের রিং চিপস রোদে শুকাতে দেওয়া হয়েছে। চারদিক থেকে ধুলাবালি এসে পড়ছে। শ্রমিকেরা পায়ে ঠেলে রিং চিপস রোদে মেলছেন। এ দৃশ্য ক্যামেরাবন্দী করতে গেলে কারখানার মালিক ও শ্রমিকেরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, এই সব কারখানায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চিপস তৈরি করা হয়। এতে কাপড়ের নিম্নমানের রং ব্যবহার করা হয়। শুকানোর পর প্যাকেটজাত করে চিপস বিক্রি করা হয়। ক্রেতারা তেলে ভেজে এসব চিপস খান।
পঞ্চসার চিপস কারখানা মালিক সমিতির সভাপতি মোশারফ হোসেন বলেন, ‘আমাদের সমিতির নাম এখনো রেজিস্ট্রেশন করিনি। করার প্রস্তুতি চলছে। বিএসটিআইয়ের অনুমোদনের জন্য আমরা আবেদন করতে গিয়েছিলাম। তাঁরা আমাদের চিপস রেডি ফুড না বলে অনুমতি দেয়নি। তবে আমরা যতটুকু সম্ভব চেষ্টা করি ভেজালমুক্ত চিপস তৈরি করতে। কাপড়ের রং না, ফুড তৈরিতে যে রং দেওয়া হয়, আমরা সেটাই ব্যবহার করি।’
সদর উপজেলা স্বাস্থ্যবিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ের স্যানিটারি পরিদর্শক জামাল উদ্দিন বলেন, ‘আমরা মাঝেমধ্যেই এসব কারখানায় অভিযান চালিয়ে জরিমানা আদায় করি।’
অতিরিক্ত জেলা হাকিম এ কে এম শওকত আলম মজুমদার বলেন, ‘ভেজাল চিপস তৈরির কারখানার কথা আমি শুনেছি। খোঁজ নিয়ে অভিযান চালানো হবে।’