মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে যুবতীকে ধর্ষণের ঘটনায়,ধর্ষককে আটক আটক করেছে গজারিয়া থানা পুলিশ ।
অভিযোগ পত্রে ঘটনার বিবরণীতে জানা যায়,মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামের মৃত আঃ রাজ্জাকের মেয়ে মোরশেদা আক্তার (১৯) এর সাথে একই গ্রামের মৃত মনি সরকারের ছেলে সুমন সরকার (২৬) এর দীর্ঘ আড়াই বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। সমুন মেয়েটিকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিক বার মেয়েটি ইচ্ছের বিরোদ্ধে জোর পূর্বক মেয়েটির ধর্ষণ করে । সর্বশেষ চলতি মাসের গত ৪ জানুয়ারি রাতে সে মেয়েটির পুনরায় ধর্ষণ করে। এ সময় মেয়ে মামা সুমনকে হাতে নাতে ধরে ফেলে। সুমন সকাল হলে মেয়েটিকে বিয়ে করবে বল প্রতিশ্রুতি দেয়। তবে সকাল হলে সে বিয়ে না করে নানা তালবাহানা শুরু করে। বাধ্য হয়ে ঘটনাটি গ্রামের গণ্যমান্য ব্যাপ্তিবর্গকে জানালে গ্রাম্য সালিশ জানুয়ারির ১০ তারিখ বিয়ের দিন ধার্য করা হয়।তবে ১০ তারিখ ধর্ষক সুমন বিয়ে না করে এলাকার কিছু প্রভাবশালী লোককে হাত করে বিয়ের জন্য ৫ লক্ষ টাকা যৌতুক অন্যথায় মেয়ের পরিবারকে সপরিবারে গ্রাম ছাড়ার হুমকি দেয় । বাধ্য হয়ে অবশেষে গতকাল রাতে মেয়েটি থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। মামলা দায়েরের পর পুলিশ গতকাল রাত থেকেই এলাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়।
ভোর সাড়ে ৫টার সময় উপজেলার ভাসারচর গ্রামে গজারিয়া থানার এসআই দিদারুল আলম খানের নেত্রীত্বে অভিযান চালিয়ে ধর্ষক সুমনকে আটক করে গজারিয়া থানা পুলিশ ।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে গজারিয়া থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ হেদায়েত উল ভূঁইয়া জানান, মেয়েটি বাদী হয়ে মামলা দায়েরে পর আমরা অভিযুক্তকে আটক করে জেলহাজতে পাঠিয়েছি ।