মুন্সিগঞ্জ, ১ ডিসেম্বর, ২০২২, নাজির হোসেন (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জের টংগিবাড়ী উপজেলার বেতকা ইউনিয়নের আলেচিত কাজী ইলিয়াসের বিরুদ্ধে জেলা রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে অভিযোগ দায়ের করেছে বাল্যবিয়ের শিকার কিশোরী।
গতকাল বুধবার (৩০ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে ১৪ বছর বয়সী মাদ্রাসা ছাত্রী কিশোরী মুন্সিগঞ্জ জেলা রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে কাজী ইলিয়াসের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও বাল্যবিয়ে পড়ানোর লিখিত অভিযোগ আনেন।
একই সাথে অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী কিশোরীর পিতা ও কাবিননামার স্বাক্ষী কিশোরীর ছোট বোনও।
অভিযোগে কিশোরী উল্লেখ করেন, ‘প্রবাসী একটি ছেলে আমাকে ব্ল্যাকিমেইল করে আমার এবং তার ছবি ফেসবুকে পোস্ট করার ভয় দেখিয়ে প্রবাসীর বাবা তাবু মাদবরের সহায়তায় আমাকে বেতকা ইউনিয়ন কাজী অফিসে নিয়া যায়। এসময় আমার গলায় থাকা ১ ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন নিয়ে যায় কাজী ও ছেলের বাবা তাবু মাদবর। পরে চেইন বিক্রি করে আমার নামে একটি জন্ম নিবন্ধন এবং জাতীয় পরিচয়পত্র বানিয়ে আনে। গেল ১৩ সেপ্টেম্বর তাবু মাদবর আমাকে বেতকা ইউনিয়নের কাজির বাড়িতে নিয়ে কাজীসহ অন্যান্য লোকজন ভয়ভীতি দেখিয়ে আমার বিবাহ রেজেস্ট্রি করে।’
উল্লেখ্য, সম্প্রতি অভিভাবকদের অনুমতি ছাড়াই ১৪ বছর বয়সী স্থানীয় একটি মাদ্রাসার ছাত্রীকে একই গ্রামের তাবু মাদবরের ছেলে প্রবাসী সিয়াম মাদবরের সাথে বিয়ে পড়ান বেতকা ইউনিয়নের কাজি ইলিয়াস।
সম্প্রতি এ ঘটনায় টংগিবাড়ী মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ে হাজির হয়ে মুচলেকা দেন তিনি।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী কিশোরীর পিতা বলেন, আমার মেয়ে ২০০৮ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করে। আমার মেয়ের বিয়ের বয়স না হওয়া সত্বেও বেতকা ইউনয়নের কাজী ইলিয়াস তাকে বিয়ে পড়ান।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত বেতকা ইউনিয়নের কাজি ইলিয়াস বলেন, আমি আমার জবাব লিখে জমা রেখেছি। যেখানে প্রয়োজন হয়, সেখানে আমার জবাব দিয়ে দিবো।