মুন্সিগঞ্জ, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২০, শিহাব আহমেদ (আমার বিক্রমপুর)
করোনায় প্রবাসী স্বামী হারিয়ে আর্থিক কষ্টে দিন কাটছে মুন্সিগঞ্জের দিপালী’র। সরকার ও বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা-ওকাপের সহায়তায় লাশ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনতে পারলেও ৬ মাস পেরিয়ে গেলেও সরকারের প্রতিশ্রুত ক্ষতি-পূরণের জন্য অপেক্ষা করছেন।
মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার আধারা ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের দিপালী বেগম (৩২) জানান, তার স্বামী হাফিজউদ্দিন সরদার (৫০) গত মার্চে দুবাইতে ব্রেইন স্ট্রোক করে মারা যান। এরপর তিনি বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা অভিবাসী কর্মী উন্নয়ন প্রোগ্রাম- ওকাপ ও জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের সহায়তা নিয়ে লাশ দেশে ফিরিয়ে আনেন। এয়ারপোর্টে তাকে দাফন-কাফন বাবদ ৩৫ হাজার টাকা দেয়া হয়।
তিনি জানান, ‘সব নিয়ম মেনে আবেদন করেছি। সরকারের প্রতিশ্রুত ক্ষতি-পূরণ এখনো পাচ্ছি না।’
দিপালী বেগম বলছিলেন, ‘শশুড় বাড়িতে থাকি। শশুড়-শাশুড়ি অনেক আগেই মারা গেছেন। ছেলে মেয়ে নিয়ে সংসার চালাতে কষ্ট হয়। ই থাকেন। শশুড়-শাশুড়ি মারা গেছেন। এক মেয়ে নুসরাত (৩ বছর), দুই ছেলে, শিহাব (৭ বছর) মাদ্রাসায় পড়ে, সিফাত (১৬ বছর) সৈয়দপুর হাইস্কুলে অষ্টম শ্রেণীতে পড়ে। তাদের লেখাপড়ার খরচ চালাতে নিদারুণ কষ্ট হয়। সরকারের অনুদান পেলে স্থায়ী কিছু করার চেষ্টা করবো।’
দিপালী জানান, তিনি সকল প্রক্রিয়া মেনে সরকারের আর্থিক অনুদানের জন্য জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসে আবেদন করেছেন।
এ বিষয়ে মুন্সিগঞ্জ জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের সহকারি পরিচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘তার আবেদনটি যথা নিয়ম অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। যথাযথ প্রক্রিয়া শেষে শীঘ্রই তিনি তার প্রাপ্য অনুদান বুঝে পাবেন। এ নিয়ে ’