২৪শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
শুক্রবার | দুপুর ১:১৯
ইলেকট্রিশিয়ান ও লাইনম্যানদের দ্বন্দ্বে চরম ভোগান্তিতে টঙ্গীবাড়ী’র গ্রাহকরা!
খবরটি শেয়ার করুন:

টঙ্গীবাড়ী উপজেলার বালিগাঁও পল্লি বিদুৎ অভিযোগ কেন্দ্রের অবৈধভাবে উপার্জন করা টাকা ভাগাভাগী নিয়ে ইলেকট্রিশিয়ান ও লাইনম্যানদের মধ্যে চরম কোন্দল বিরাজ করছে। এতে গ্রাহকরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছে।

জানা যায়, ওই কেন্দ্রের সীমাহীন দূর্ণীতির মাধ্যমে আদায় করা টাকা ভাগ বাটোয়ার নিয়ে প্রতিনিয়ত দ্বন্দ্ব ও সংঘাতের ঘটনা ঘটছে। একটি নতুন মিটার সংযোগ খরচ প্রকৃতপক্ষে ৬-৮শত টাকা হলেও গ্রাহকদের কাছ হতে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে ১০-১২হাজার টাকা। আর এই অর্থ ভাগাভাগী নিয়ে খোদ বিদুৎ অফিসের ভিতরে চলছে সংঘর্স হামলা পাল্টা হামলা। সম্প্রতি টাকা ভাগাভাগী নিয়ে অভিযোগ কেন্দ্রের ভিতরে লাইনম্যান ইনর্চাজ আনোয়ারগংদের সাথে ইলেকট্রিশিয়ান ইকবাল খানগংদের মধ্যে হাতাহাতি হয়।

এনিয়ে পরে পল্লি বিদুৎ লাইনম্যান বৃন্দ আনোয়ার ও আতিকের নেতৃত্বে কৌশলে ইলেকট্রিশিয়ান ইকবালকে টঙ্গীবাড়ী পল্লী বিদুৎ অফিসে ডেকে নিয়ে চেয়ার দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে টঙ্গীবাড়ী থানায় বিষয়টি নিয়ে পল্লি বিদুৎ ডিজিএম অভিযোগ করে। এদিকে মিটার যথাসময়ে স্থাপন না করার কারন জিজ্ঞাসা করায় সম্প্রতি রংমেহার গ্রামের জাহাঙ্গীর দেওয়ানকে টঙ্গীবাড়ী অফিসের লাইনম্যান ইব্রাহিম পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে।

এনিয়ে যে কোন মুহুতে বড় ধরনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। শুধু মিটার বানিজ্য নয় নতুন তার সংযোগ ও খুটি বসানো নিয়েও চলছে রমরমা বানিজ্য। উপজেলার নয়াগাওঁ গ্রামের চান মিয়া জানান, তার বাড়িতে ২ ফুট তার জোড়া দিয়ে তার কাছ হতে লাইনম্যান আনোয়ার আদায় করে নিয়েছে ৩৮হাজার টাকা। শুধু তাই নয় গ্রাহকদের কাছ হতে মিটারের নামে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের পর আবার বাড়িতে মিটার সংযোগ দিতে গিয়ে বিভিন্ন তালবাহনা করে আদায় করা হচ্ছে আরো অর্থ। বালিগাঁও গ্রামের প্রবাসী হাবিবের স্ত্রীর কাছ হতে মিটার বাবদ লাইনম্যানরা ১০ হাজার টাকা নেওয়ার পর বাড়িতে ওই মিটার সংযোগ দিতে গিয়ে ইলেকট্রিশিয়ানরা আদায় করে ১৫ শত টাকা। এভাবেই ইলেকট্রিশিয়ান এবং লাইনম্যানদের কোন্দোলে ভুক্তভোগী গ্রাহকরা চরম হয়রানীর সৃষ্টি হচ্ছে।

এ ব্যাপারে অভিযোগ কেন্দ্রের ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন জানান, ইকবাল আগে আমাদের এক লাইনম্যানকে ঘুসিঁয়ে আহত করে পরে এনিয়ে লাইনম্যানদের সাথে ইকবালের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বিষয়টি টঙ্গীবাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান সমাধান করে দিয়েছেন।

error: দুঃখিত!