মুন্সিগঞ্জ, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, নিজস্ব প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে আসামির বাড়ির পুকুর থেকে নিখোঁজ স্কুলছাত্র রোমান শেখের (১৫) বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে শ্রীনগরের ছয়গাঁও এলাকায় নিখোঁজের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার প্রধান আসামি সিয়ামের বাড়ির পুকুর থেকে মরদেহটি উদ্ধার হয়। পরে সেটি সনাক্ত করেন পরিবারের সদস্যরা।
এর আগে সকাল ১০টার দিকে আসামি সিয়ামের বাড়ির পাশে গিয়ে বিকট গন্ধ পান স্থানীয়রা। এসময় তারা পুকুরে বস্তাবন্দি লাশের অস্ত্বিত্ব নিশ্চিত হন। খবরটি ছড়িয়ে পড়লে ধীরে ধীরে সেখানে শত শত নারী-পুুরুষ জড়ো হন। একপর্যায়ে সিয়ামের বসতঘর ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেন বিক্ষুব্ধরা।
বিপুল সংখ্যক পুলিশ, র্যাব, ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে দুপুর ১টার দিকে ২২ দিন আগে নিখোঁজ শ্রীনগরের বেলতলী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ও অটোচালক ছাত্র রোমান শেখের (১৫) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
মরদেহটি সিমেন্টের খুঁটি ও ইটের সাথে বেঁধে পুকুরে কচুরির ভেতরে লুকানোর উদ্দেশ্যে ফেলে রাখা হয় বলে জানায় তারা।
সিরাজদিখান সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার আ ন ম ইমরান খান মরদেহ উদ্ধারের তথ্য নিশ্চিত করে জানান, গত ২১ জানুয়ারি স্কুল ছাত্র রোমান শেখ বাসা থেকে অটোরিকশা নিয়ে বেরিয়ে নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় ২৫ জানুয়ারি ৩ জনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন নিহত রোমানের পিতা মিরাজ শেখ। পুলিশ এ ঘটনায় সিয়ামসহ ২ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায়। পাশাপাশি উদ্ধার করা হয় অটোরিকশাটি। তবে আসামিরা পুলিশকে রোমানের বিষয়ে কোন তথ্য দেয়নি।
গতকাল ১২ ফেব্রুয়ারি নিখোঁজ স্কুল ছাত্রের সন্ধানের দাবিতে সিরাজদিখান থানায় হামলা করে ভাঙচুর চালায় বিক্ষুব্ধ স্বজন ও সহপাঠীরা।
নিহত রোমান শেখ (১৫) সিরাজদিখান উপজেলার থৈরগাঁও গ্রামের মিরাজ শেখের ছেলে। মামলার প্রধান আসামি সিয়াম ওরফে জিহাদ (১৯) শ্রীনগরের ছয়গাঁও এলাকার রফিক ফকিরের ছেলে।
মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নির্যাতন মামলাটি হত্যা মামলায় রুপান্তর হবে বলে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।