২৩শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
রবিবার | ভোর ৫:২২
‘আর ছাড় দেয়া হবে না’- মৃণাল কান্তি দাস
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২২, নিজস্ব প্রতিবেদক (আমার বিক্রমপুর

‘আওয়ামী লীগের অনেক বিশুদ্ধ নেতাকর্মী বিভিন্ন মামলায় জর্জরিত হয়ে কখনো জেলে যায়, কখনো বাইরে থাকে, কখনো দৌড়ে থাকে- একশ্রেণীর পুলিশ কর্মকর্তা আছে ঐ গু খাওয়ার জন্য পাগল হয়ে যায়। আমার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের গায়ে হাত দেয়। অনেক দেখেছি আমি- বলিনি কিছুই। আর ছাড় দেয়া হবে না। ঐ গু যদি খেতে চান শেষবারের মত খেয়ে নিয়েছেন মনে রাখবেন। আমার লোকজনের উপরে যদি মিথ্যা মামলা- অন্যায়, অত্যাচার, জুলুম করা হয়। আমি এমপি হিসাবে নিজেই রাজপথে নামবো। এতে কেউ কিছু করতে পারবেনা।’- এসব কথা বলেছেন মুন্সিগঞ্জ ৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস।

গতকাল বুধবার মিরকাদিম পৌরসভার উদ্যোগে পৌরসভা প্রাঙ্গণে দোয়া, মিলাদ, এতিমদের মাঝে খাদ্য বিতরণ ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। সভায় সভাপতিত্ব করেন মিরকাদিম পৌরসভার মেয়র আব্দুস সালাম।

মৃণাল কান্তি দাস এসময় মিরকাদিমের সাবেক মেয়র শহিদুল ইসলাম শাহিনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘যারা আওয়ামী লীগের লেবাসধারী, যারা হিন্দুর বাড়ি দখল করে, মন্দিরের জায়গা দখল করে। যারা কবরের জায়ঘা দখল করে, যারা মসজিদের জায়গা দখল করে । ওদের চরিত্র আমরা চিনি। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের কাছে আমার আহবান থাকবে- বিশুদ্ধ মানুষদেরকে নিয়ে আওয়ামী লীগকে গঠন করুন। সংখ্যায় যদি একজনও হয়, পিউর আওয়ামী লীগার খুঁজে বের করুন। যারা সুখে থাকবে-দুঃখে থাকবে, আপদে থাকবে-বিপদে থাকবে।’

তিনি বলেন, ‘মিরকাদিমের মানুষ দীর্ঘদিন জিম্মি ছিলো। কত কথা মানুষ আমাকে বলেছে- এমপি সাহেব, আপনি ভালো মানুষ- ডট ডট ডট এইটা নিয়ে চলেন কেন, পাত্তা দেই নাই। যখন জনগণের কথাকে পাত্তা দিয়েছি জনগণ এখন আর আমাকে মিরকাদিমে দেখলে বলে না- এমপি সাহেব ডট ডট ডট ঐটা নিয়ে চলেন কেন।’

মৃণাল কান্তি দাস আরও বলেন, ‘খায়দায় চান মিয়া, মোটা হয় জব্বার। খাইয়া একেকজন-মাল কামাইয়া কামাইয়া পৌরসভা বেইচ্যা এক্কেবারে ফুটবলের মত হইয়া গেছেগা। কে কত টাকার মালিক হইছেন, কে পৌরসভার ফাইলপত্র বাড়িতে নিয়ে গেছেন সব আইতাছে।’

তিনি বলেন, ‘অনেক কথা শুনেছি গত দেড় বছরে- উত্তর দেই নাই। উত্তর দেয়ার সময় হলে উত্তর পেয়ে যাবেন। বলি একটাই- দুই নৌকায় পাড়া দিলে মাঝখানে পরে মরতে হয়।’

 

error: দুঃখিত!