মুন্সিগঞ্জ, ২০ অক্টোবর, ২০২২, নিজস্ব প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জের মিরকাদিম পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র শহিদুল ইসলাম শাহিনকে প্রধান আসামি করে ১৭ জনের বিরুদ্ধে মুন্সিগঞ্জ সদর থানায় মামলা দায়ের হয়েছে মামলার বাদী নাছির মিয়া এ তথ্য জানিয়েছেন।
এদিকে এই মামলাকে ‘নোংরামি ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত’ বলেছেন মিরকাদিম পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র শহিদুল ইসলাম শাহিন।
তিনি ‘আমার বিক্রমপুর’ কে বলেন, একটি মহল যারা রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে, যারা সবজায়গায় পরাজিত হয় যাদের কোন রাজনৈতিক মূল্য নেই তাদের যোগসাজশে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে।’
‘প্রকৃত ঘটনাকে আড়াল করে রাজনৈতিক সুবিধা নেয়াই এই মামলার প্রধান উদ্দেশ্য। এর মধ্য দিয়ে সত্যকে মিথ্যার সামনে দাড় করানো হলো’ -বলেন শাহিন
মিরকাদিমের আবির হোসেন (২২) ও শাকিল আহাম্মেদ অপু (২৬) এর উপর হামলার ঘটনায় ১৭ জনের নামোল্লেখসহ ৭-৮ জন অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মুন্সিগঞ্জ সদর থানায় গতকাল বুধবার এই মামলা দায়ের হয়। মামলার বাদী আবীর হোসেনের বাবা নাছির মিয়া। মামলা নং-৫২, ১৯/১০/২০২২।
এজাহারে উল্লেখিত অভিযুক্ত অন্যান্য আসামীরা হলেন- মিরকাদিমের পূর্বপাড়া এলাকার বাহালুল মিয়ার ছেলে বাবুল আহাম্মেদ @ বর্ণালী বাবুল (৪২), মৃত করিম বেপারীর ছেলে মাসুদ ফকরি খোকন (৬০), টেংগর এলাকার সাধু বেপারীর ছেলে সম্পদ মিয়া (২৫), পূর্বপাড়া এলাকার সেলিম এর ছেলে সাগর (২৬), তিলার্দিচর শরিয়তনগর এলাকার শিপলুর ছেলে ইমতিয়াজ সানি, বুলু মিয়ার ছেলে মোঃ নাজিম (২৮), নৈদিঘিরপাথর খালেক মেম্বারের ছেলে খশরু নোমান (৪৫), কুটি মাদবরের ছেলে মো. রমজান, শাহজাদা খানের ছেলে শুভ (২৪), বাবুল দাসের ছেলে তুষার দাস, মুকুল মিয়ার ছেলে শুভ (২২), শারজাহানের ছেলে নাজমুল (২০), মো. হোসেনের ছেলে হৃদয় (২০), রশিদের ছেলে তোফাজ্জল (৩৫), পাগলা মিয়ার ছেলে তুরান (৩৬) ও ইদ্দিসের ছেলে ইফতি (২৫)।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে রিকাবিবাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনের প্রচারণা শেষ করে আবির হোসেন (২২) ও শাকিল আহাম্মেদ অপু (২৬) মিরকাদিম পৌরসভার সাবেক মেয়র শহিদুল ইসলাম শাহিনের পরিত্যক্ত বাড়ির সামনে হামলার শিকার হন। এর মধ্যে আবিরের অবস্থা গুরুতর বিবেচনায় কর্তব্যরত চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জাপান-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।
মামলার বাদী আবীর হোসেনের বাবা নাছির মিয়া জানান, আমার ছেলে জাপান-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন।