১৮ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
বুধবার | সন্ধ্যা ৬:০৭
অবেশেষ রিয়াল ছাড়লেন ক্যাসিয়াস
খবরটি শেয়ার করুন:

রিয়াল মাদ্রিদের সাথে দীর্ঘ ২৫ বছরের সম্পর্কের অবসান ঘটিয়ে অবশেষে পতুর্গীজ ক্লাব এফসি পোর্তোতে পাড়ি জমিয়েছেন অধিনায়ক ও গোলরক্ষক ইকার ক্যাসিয়াস। দীর্ঘ এই সময়ে স্প্যানিশ জায়ান্টদের হয়ে তিনি সবকিছুই অর্জন করেছেন।
এ সম্পর্কে রিয়াল মাদ্রিদের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘পর্তুগীজ ক্লাবে ইকার ক্যাসিয়াসের দলবদলের ব্যপারে রিয়াল মাদ্রিদ ও এফসি পোর্তোর মধ্যে সমঝোতা হয়েছে।’
মাত্র নয় বছর বয়সে ১৯৯০ সালে রিয়ালের যুব অ্যাকােডিমতে যোগ দেয়া ক্যাসিয়াস ৩৪ বছর বয়সে যখন গ্যালাকটিকোদের বিদায় জানিয়েছেন তখন সাথে করে নিয়ে গেছেন ১৬ মৌসুমের পেশাদার ফুটবলীয় ক্যারিয়ারে ১৯টি শিরোপা। রিয়াল তাই তাদের বিবৃতিতে ক্যাসিয়াসের প্রশংসা করতে ভুল করেনি, ‘ক্লাবের অন্যতম সেরা গোলরক্ষক ক্যাসিয়াস শুধুমাত্র ক্লাব ছেড়ে চলে যাচ্ছে না। বরং সাথে করে নিয়ে যাচ্ছেন ক্লাব ফুটবলের ইতিহাসে সেরা গোলরক্ষকের খেতাব। স্প্যানিশ ফুটবলের ইতিহাসে সেরা গোলরক্ষক হিসেবে ক্যাসিয়াস তার ফুটবলীয় ক্যারিয়ারে আরেকটি নতুন অধ্যায় শুরু করতে যাচ্ছেন। ইকার দল ছেড়ে গেলেও তার কীর্তি সবসময়ই আমাদের সাথে থাকবে। আমাদের হয়ে যে ৭২৫টি ম্যাচ খেলেছে সেগুলো ভবিষ্যতের খেলোয়াড়দের কাছে পাথেয় হয়ে থাকবে। তার অনবদ্য অবদানের জন্য ক্লাব তাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছে।’
রিয়ালের সাথে ক্যাসিয়াসের চুক্তির সময় আরো দুই বছর বাকি ছিল। কিন্তু গত মৌসুমে দ্বিতীয় স্থানে থেকে লা লিগা শেষ করা রিয়াল নিজেদের আবারো শিরোপা লড়াইয়ে ফিরিয়ে নিয়ে আসার লক্ষ্যে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ২৪ বছর বয়সী গোলরক্ষক ডেভিড ডি গিয়ার দিকে নজড় দিয়েছে। সে কারনেই ক্যাসিয়াস দল ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।
২০১০ সালে ক্যাসিয়াকে নিয়ে বিশ্ব গণমাধ্যম দারুণ সরব ছিল। ওই বছরই স্পেনের হয়ে প্রথমবারের মত বিশ্বকাপের শিরোপা জয়ের কৃতিত্ব দেখায় ক্যাসিয়াসের নেতৃত্বাধীন দলটি। ক্যাসিয়াসের বিশ্বকাপের শিরোপা উঁচু করে তোলার দৃশ্যটি বিশ্বজুড়ে পত্রিকাগুলোর প্রথম পাতায় স্থান করে নিয়েছিল। কিন্তু গত গ্রীষ্মে ব্রাজিল বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডের কাছে পরাজিত হয়ে গ্রুপ পর্ব থেকেই স্পেনের বিদায়ে ক্যাসিয়াসকে নিয়ে সমালোচনা ঝড় উঠে। বিশ্বকাপ জয়ী ও দুইবারের ইউরোপীয়ান চ্যাম্পিয়ন স্পেনের হয়ে শিরোপা জয় ছাড়াও রিয়ালের হয়ে ক্যাসিয়াস পাঁচটি স্প্যানিশ শিরোপা, তিনটি চ্যাম্পিয়নস লীগের শিরোপা ও দুটি কিংস কাপের শিরোপা জয় করেছেন। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে ১৯৯৯ সালে মূল দলে তার অভিষেক হয়েছিল।
২০১৪-১৫ পর্তুগীজ মৌসুমে বেনফিকার পিছনে থেকে রানার্স-আপ হওয়া পোর্তো আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লীগ খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। সেই কারেণই সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ কোচ ও স্প্যানিশ গোলরক্ষক জুলেন লোপেটেগুইর অধীনে নিজেদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে দল গোছানোর কাজে হাত দিয়েছে পোর্তো। ইতোমধ্যেই তারা ছয়জন স্প্যানিশ খেলোয়াড়কে দলভূক্ত করেছে। দলের দু’জন সহকারী কোচও স্প্যানিশ। – See more at: http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/38002#sthash.ryry5fZd.dpuf