মুন্সিগঞ্জ, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, নিজস্ব প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজমুল হাসান সোহেলের নির্মাণাধীন বাসভবনে সাব ঠিকাদারের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
মৃত মাইনুল ইসলাম ওরফে বাবলু চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল উপজেলার উত্তর সাজুপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৭টা’র দিকে সরকারি হরগঙ্গা কলেজ সংলগ্ন খালইষ্ট এলাকায় নির্মানাধীন ৭তলা ভবনের নিচ তলার লিফটের আন্ডারগ্রাউন্ডে জমে থাকা পানি থেকে তার মরদেহ দেখতে পেয়ে তার ছেলে পারভেজ ভবনটিতে কর্মরত অন্যান্য শ্রমিকের সহায়তায় মরদেহটি মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।
মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক তোফাজ্জল হোসেন জানান, সকাল ৮টা’র দিকে মৃত অবস্থায় ঐ ঠিকাদারের লাশ নিয়ে আসে তার ছেলেসহ কয়েকজন। তার শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন ছিলোনা। ধারণা করছি, পানিতে পড়ে সে মারা গেছে। পরিবারের অভিযোগ না থাকায় ঘটনাটি পুলিশকে জানানো হয়নি।
নিহতের ছেলে পারভেজ (২০) জানান, রাত সাড়ে ৩টা’র দিকে অন্যান্য শ্রমিকদের সাথে রাতের খাবার খায় আমার বাবা। আমি ও আমার বাবা ভবনটির নিচ তলাতেই থাকতাম। আমার ধারণা, ভোর রাতের কোন এক সময় সে হাটাচলা করতে গিয়ে লিফটের আন্ডারগ্রাউন্ডে জমে থাকা পানিতে পা পিছলে পরে গিয়ে মারা গেছেন।
নির্মাণাধীন ভবনের মূল ঠিকাদার আল আমিন জানান, মৃত সাব ঠিকাদার মাইনুল ইসলাম ৪মাস আগে এই ভবনে প্লাষ্টারের ঠিকাদার হিসেব কাজ শুরু করেন। তিনি প্লাষ্টারের সকল কাজ দেখাশোনা করতেন এবং নিজেও মাঝেমধ্যে কাজ করতেন। মাইনুল ইসলাম তার ছেলেকে নিয়ে ভবনের নিচ তলাতেই থাকতেন। তার অধীনে তার ছেলেসহ ১১ জন শ্রমিক কাজ করতেন। এরা সবাই চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।
সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজমুল হাসান সোহেল বলেন, নির্মাণাধীন ভবনের মূল ঠিকাদার ছিলেন আল আমিন এবং মৃত মাইনুল ইসলাম ছিলেন সাব ঠিকাদার। সকালে ভবনের নিচ তলায় নির্মাণাধীন লিফটের আন্ডারগ্রাউন্ডে জমে থাকা পানিতে তার মরদেহ দেখতে পায় তার ছেলে ও অন্যান্য শ্রমিকরা। পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ না থাকায় তারা লাশ নিয়ে গেছে।
মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ওসি মো. তারিকুজ্জামান জানান, পুলিশ এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পায়নি। যেহেতু নির্মাণাধীন ভবনে এরকম একটি ঘটনা ঘটেছে বাড়ির মালিকপক্ষের উচিৎ ছিলো আমাদের জানানো। আমরা খোঁজ নিচ্ছি।