মুন্সিগঞ্জ, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০, বিশেষ প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জের নদীতে বিশেষ টহল দিয়েছে নৌ-পুলিশ।
শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে নৌ-পুলিশের এক বিশেষ অপরাধ সভা অনুষ্ঠিত হয় ঢাকার শ্যামপুর ঘাটে। এরপর জাহাজটি শ্যামপুর ঘাট থেকে যাত্রা শুরু করে মুন্সিগঞ্জ পর্যন্ত গিয়ে আবার শ্যামপুর ঘাটে ফিরে যায়।
বিশেষ এই অপরাধ সভায় আসন্ন মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান সম্পর্কে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহন করা হয়।
এবার মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান পরিচালনার পাশাপাশি কারেন্ট জাল তৈরির কারখানাগুলোর উপর বিশেষ নজর দেয়া হবে বলে জানায় নৌ-পুলিশ।
নৌ-পুলিশ জানায়, এবছর কারখানা গুলো এবং নদীতে অভিযান পরিচালনা করে ৯৪ কোটি মিটার নিষিদ্ধ ঘোষিত অবৈধ জাল উদ্ধার করে। এর মধ্যে শুধু মুন্সিগঞ্জের মুক্তারপুর নৌ পুলিশ স্টেশনই ৮০ কোটি মিটারের বেশী নিষিদ্ধ ঘোষিত অবৈধ কারেন্ট জাল উদ্ধার করে বিভিন্ন জাল তৈরির কারখানা গুলো থেকে । এর নেতৃত্ব দেন মুক্তারপুর নৌ পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ কবির হোসেন খাঁন।
নৌ-পুলিশ জানায়, পরিসংখ্যান অনুযায়ী যদি ১০০ কোটি মিটার কারেন্ট জাল নদীতে পাতা হতো তাহলে ইলিশ সহ অন্যান্য মাছের উৎপাদন বহুলাংশে কমে যেত।
২০০৭-০৮ অর্থবছরে দেশে ইলিশের উৎপাদন ছিল ২ লাখ ৯০ হাজার টন। ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে তা বৃদ্ধি পেয়ে হয় ৫ লাখ ১৭ হাজার টন। ২০১৯-২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরে সেই রেকর্ড ভেঙে এখন পর্যন্ত ইলিশের উৎপাদন ৫ লাখ ৩৩ হাজার টনে উন্নীত হয়েছে। অর্থাৎ গত ১১ বছরের ব্যবধানে দেশে ইলিশ উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ৮৪ শতাংশ।
নিষিদ্ধ ঘোষিত কারেন্ট জালের বিরুদ্ধে নৌ পুলিশের কঠোর অবস্থান থাকবে-বলে জানান নৌ পুলিশের ডিআইজি। এছাড়াও আগামী ১৪ অক্টোবর থেকে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানে সাধারণ মানুষের কাছে একটি বার্তা পৌঁছাতে চান তিনি। তা হল- এসময় ইলিশ নিধন, ক্রয়- বিক্রয়, পরিবহন, খাওয়া বন্ধ রাখতে হবে। আমরা যদি মা ইলিশ সংরক্ষণ করতে পারি তাহলে ইলিশ মাছের উৎপাদন বহুল অংশে বেড়ে যাবে। এছাড়াও কর্কশিটে করে যেন কেউ ইলিশ মাছ সংরক্ষণ না করতে পারে সে বিষয়ে বিশেষ নজর দিবে নৌ পুলিশ।
উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নৌ পুলিশের ডিআইজি জনাব মোঃ আতিকুল ইসলাম বিপিএম (বার) পিপিএম (বার) মহোদয়। উক্ত অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত ডিআইজিগন, পুলিশ সুপারগন সহ অন্যান্য অফিসারগন উপস্থিত ছিলেন।