১৬ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
বৃহস্পতিবার | সকাল ৭:২৬
বীর মুক্তিযোদ্ধা আনিছুল ইসলাম তালুকদারের কবিতা ‘বেদনা বিধুঁর ইতিহাস’
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ, ১৫ আগস্ট, ২০২২, (আমার বিক্রমপুর)

বঙ্গবন্ধু এলেন ধরায় ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ টুঙ্গিপাড়ায়,
মা সাহেরা খাতুনের আঁচলতলে।
পাড়া-পড়শী চুমু খায়, খোকা নামে ডাকে মায়,
ফুটিলো কুসুম কলি বাবা লুৎফর রহমানের কোলে।

বয়স যখন একটু বাড়ে, মা বাবা যত্নসহকারে,
নাম রাখেন শেখ মুজিবুর রহমান।
এই মুজিব হলেন জাতীর জনক ভাষা আন্দোলনের অগ্রনায়ক,
তাইতো আজ আমরা গাহি বাংলা ভাষায় গান।

৭১ এর ৯ টি মাসে, মুক্তিযুদ্ধে বাংলার স্বাধীনতা আসে,
মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র তুমিই জন্ম দাতা।
কারাবন্দি কষ্ট ক্লেশ, রক্ত ঝরা মুক্তিযুদ্ধ হল শেষ,
তুমি এনে দিলে আমাদের বাংলার স্বাধীনতা।

স্বাধীনতা বিরোধী সৈন্য সেনা, রুপ ধরিল সর্পের ফনা,
ছোবল মারে ঢাকা ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে।
ঘরের মেঝেতে লুটাইয়া পারে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুরে,
শাহাদত করিলেন বরন বঙ্গবন্ধু স্বপরিবারে।

৭৫ এর আগষ্ট মাস, রচিত হলো ঘৃণিত ইতিহাস,
বঙ্গবন্ধু চলে গেলেন না ফেরার দেশে।
রেখে গেলেন বাংলার স্বাধীনতা, বঙ্গবন্ধু আর আমাদের বঙ্গমাতা,
তোমাদেরকে হারায়ে আমরা আছি এতিমের বেশে।

বাংলার ভাগ্যাকাশে আসে অমানিসা, হারায়ে যায় আমাদের মুখের ভাষা,
শান্তনা পাই স্মরণ করে ৭ ই মার্চের ভাষন খানি।
“আমি যদি হুকুম দিবার নাও পারি, রাস্তাঘাট দিবে বন্ধ করি,
এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাল্লাহ”।

দিন মাস বছর ধরি, শোকাতুড় চিত্তে স্মরণ করি,
১৫ ই আগস্ট শোকে গাঁথা কালো রাত।
চাই মাগফেরাত, মহান আল্লাহ এর দরবারে উঠায়ে দুই হাত,
বেহেস্ত নাযিল করিও আল্লাহ আমার মোনাজাত।

আমিন আমিন আমিন

error: দুঃখিত!