মুন্সিগঞ্জ, ১৩ এপ্রিল, ২০২০, সদর প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
‘নির্বাচনের সময় ভোট চাইতে আমাগো দরজায় আসে আর এখন আমাগো দু:সময় তাদের বাড়ির সামনে বাঁশ’ কথাগুলো বলছিলেন করোনার প্রভাবে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে খাবার নিয়ে উদ্বেগে থাকা মিরকাদিম পৌরসভার একজন বৃদ্ধা। যিনি ত্রাণ না পেয়ে পথে নেমেছেন।
করোনা ভাইরাস সংক্রমন (কোভিড-১৯) ঠেকাতে সরকার সহ জনপ্রতিনিধিরা যখন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন ঠিক সেই মূহুর্তে সদর উপজেলার মিরকাদিম পৌরসভার মেয়র শহীদুল ইসলাম শাহিন বাড়ির সামনে বাঁশ দিয়ে ব্যরিকেড করে নিজেকে ‘অবরুদ্ধ’ করে রেখেছেন।
সোমবার (১৩ এপ্রিল) সকালে সরেজমিনে তার বাসার সামনে গিয়ে দেখা যায়, মেয়র শাহিনের বাড়ির সামনে করোনায় ক্ষতিগ্রস্থ দিন আনে দিন খায় এমন কর্মহীন ও উপার্যনহীন বেশকিছু পরিবার খাদ্য সামগ্রীর জন্য দাড়িয়ে আছেন, কিন্তু মেয়রের কোন হদিস নেই।
উপস্থিত কয়েকজন ত্রাণ না পাওয়ায় মেয়র শাহিনকে দায়ী করে তার পদত্যাগ দাবি করেছেন।
তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত ৭-৮ দিন ধরে বিভিন্ন লোকজনের দুয়ারে দুয়ারে যেয়েও সরকারি বা বেসরকারি কোন ত্রান সহায়তা পাননি তারা। করোনা পরিস্থিতিতে পরিবার-পরিজন নিয়ে অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটছে তাদের।
এসময় নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক বৃদ্ধ মহিলা বলেন, ‘নির্বাচনের সময় ভোট চাইতে আমাগো দরজায় আসে আর এখন আমাগো দু:সময় তাদের বাড়ির সামনে বাশ দিয়ে রাখে যাতে কিছু চাইতেনা পারি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মেয়র শহীদুল ইসলাম শাহীন বলেন, ‘করোনার কারণে সকলকে বাড়িতে থাকতে বলা হয়েছে। করোনার ছরাছরির কারণে বাড়ির বাইরে বের হওয়া সম্পূর্ণ নিষেধ। এখন আমি কি করব? এখন কি বাড়িতে থাকবো না কি বাহিরে বাহিরে ঘুরবো! মাইকিং হইতেছে এলাকায় কোন বাঁশের বেড়া থাকতে পারবে না। সাহায্য কে দেয় মেয়র দেয় না অন্য কেউ?
বাড়ির সামনে বাঁশের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘আপনি লিখে দেন লিখলে বাল ওইবো।’